দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা ধরে পুড়ছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানার ছয়তলা ভবনটি। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।
শুক্রবার (৯ জুলাই) সকালে ভবনটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানিয়েছেন।
এদিকে আগুনের ঘটনায় ভবনটির ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এবং দগ্ধ হয়ে এখন পর্যন্ত দুই নারী শ্রমিকসহ চারজন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া অর্ধশত শ্রমিক আহত হওয়ার পাশাপাশি ১৫-২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করছেন স্বজনরা। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিখোঁজ শ্রমিকদের সন্ধানে তাদের স্বজনরা কারখানাটির সামনে অপেক্ষা করছেন। তবে নিখোঁজের সংখ্যা কত তার কোনো তালিকা এখনো প্রকাশ করেনি স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ নুসরাত জাহান জানান, আগুনের ঘটনার পর থেকে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী ও উদ্ধার কর্মীদের সঙ্গে কাজ করছেন।
এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কারণ উদঘাটনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে আহ্বায়ক করে পাচঁ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে আছেন রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিসের জেলা উপসহকারী পরিচালক, পুলিশের একজন প্রতিনিধি এবং কলকারখানা অধিদপ্তরের জেলার একজন কর্মকর্তা।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, আগুনের ঘটনায় কতজন নিখোঁজ আছেন তার একটি তালিকা প্রস্তুত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তথ্য-উপাত্য সংগ্রহ করে সেই তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
স্বজনদের দাবি অনুযায়ী নিখোঁজদের নাম তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হবে। একই সঙ্গে যারা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদেরও একটি তালিকা তৈরির কাজ চলছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
আনন্দবাজার/শহক