রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গত ২৪ ঘন্টায় ৯ জেলায় আরো ৪৭ জনের মৃত্যু

খুলনা বিভাগের ৮ জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো ২৭ জন। এছাড়া, রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরো ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে ১২ জনই রাজশাহীর।

খুলনা মেডিকেলের করোনা ইউনিটে মারা গেছে ৭ জন। এছাড়া, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছে আরো ৩ জন। এদিকে, করোনার বিস্তার ঠেকাতে আজ থেকে নতুন করে লকডাউনের আওতায় এসেছে খুলনা ও ঝিনাইদহ। লকডাউন কার্যকরে মাঠে আছে প্রশাসন।

করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরায় ৯ ও যশোরে ৭ জনের মৃত্যু হয়ছে। কুষ্টিয়ায় লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে করোনায় আরো ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আংশিক লকডাউন ও বিধিনিষেধ চলছে আরো অন্তত ১৩ জেলার বিভিন্ন অংশে। তবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে সাধারণের অনীহায় লকডাউন অনেকটাই অকার্যকর। এর আগে গতকাল খুলনা বিভাগের ৬ জেলায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা যায় অন্তত ২৫ জন। এর মধ্যে খুলনা মেডিকেলের করোনা ইউনিটে ৫ জন, সদর হাসপাতালে ১ জন ও বেসরকারি হাসপাতাল খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজে ৪ জনের মৃত্যু হয়।

এদিকে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় বর্তমানে করোনা আক্রান্তদের বেশিরভাগই বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পরিস্থিতি বুঝে তারা স্মরনাপন্ন হচ্ছেন পল্লী চিকিৎসক কিংবা ওষুধ বিক্রেতাদের কাছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার অভিযোগও করেছেন অনেকে।

চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা আক্রান্ত অনেক রোগীই ভুল চিকিৎসার শিকার হওয়ায়, বাড়ছে মৃত্যু ঝুঁকি। ভুক্তভোগীরা মনে করেন, স্বাস্থ্য বিভাগের তদারকির অভাবে দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। এজন্য তাদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।

আরও পড়ুনঃ  মাস্ক ব্যবহার নিয়ে দেবী শেঠীর পরামর্শ

এদিকে, আজ থেকে শুরু হওয়া লকডাউন কার্যকরে মাঠে আছে প্রশাসন। সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে রয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। লকডাউনের আওতায় রয়েছে কুষ্টিয়া, নড়াইল ও সাতক্ষীরা। আংশিক লকডাউন ও বিধিনিষেধ চলছে আরো অন্তত ১৩ জেলার বিভিন্ন অংশে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন