বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানিতে পাইকগাছা পৌরসভা নিমজ্জিত

খুলনার পইকগাছা পৌরসভার শহর রক্ষা বাঁধ না থাকায় শিবসা নদীর জোয়ারের পানিতে শহরের অলিগলি তলিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে শহরের সকল শ্রেনীর মানুষ চরম দুর্যোগের শিকার হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রীর হস্থক্ষেপ কামনা করেছে সর্বমহল।

পাইকগাছা পৌরসভা খুলনা জেলার প্রথম পৌরসভা। ১৯৯৭ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারী সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম এ্যাড, শেখ মোঃ নুরুল হক জনগণের আদোলনের মুখে এটা প্রতিষ্ঠা করেন। যার আয়তন ৫.২২ বর্গ কিলোমিটার,লোক সংখ্যা ৪০ হাজারের অধিক। বর্তমান তিনবারের নির্বাচিত মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর পৌরসভাকে তৃতীয় শ্রেণী থেকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত করেছেন। পৌরসভার একপাশে কপোতাক্ষ নদ, দু পাশে শিবসা নদী।এক পাশ স্থল পথ তথা প্রধান সড়ক।

কপোতাক্ষ নদের বাঁধ থাকলেও শিবসা নদীতে কোন বাঁধ নেই সেই দীর্ঘ কাল ধরে। প্রতিনিয়ত পৌরসভায় জোয়ারের পানি উঠছেতো উঠছে। এমনকি নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেই পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক বা নীচু এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। জমে হাটু পানি।বিশেষ করে প্রধান সড়ক, কাপড় পট্টি, কাঁচা বাজার, মাছ কাটা মার্কেট, পৌর ভবনের মাঠ এমন কি উপজেলা সরকারী দপ্তর সমুহের চত্বর।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, বাঁধ রক্ষার জন্য বার বার উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করে গেলেও কোন কাজ হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্থক্ষেপ কামনা করছি। উপজেলা আ,লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু বলেন, আমি এ শহরের প্রাণ কেন্দ্রের বাসিন্দা। সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র। পৌরসভাকে রক্ষা করতে শহর রক্ষা বাঁধের বিকল্প নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, শহর রক্ষা বাঁধ খুবই প্রয়েজন। একশ্রেণীর অসাধু লোক নদীর ধর দখল করে নিচ্ছে,ময়লা আবর্জনা ফেলা সব ভরাট করে ফেলছে, ওয়াপদায় পাইপ বসিয়ে মারাত্মক ক্ষতি করছে।

আরও পড়ুনঃ  ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু গাছে আম ধরেছে!

এ ব্যাপারে কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।আরও কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে বাঁধের ব্যাপারে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের মাধ্যমে শহরকে রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, পাইকগাছা পৌরসভাকে আরও আধুনিকায়ন করতে শহর রক্ষা বাঁধ খবই গুরুত্বপুর্ণ। বাঁধের ব্যপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আনন্দবাজার/শাহী/ইমদাদ

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন