ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ত্রাণ নয় টেকসই বেড়িবাঁধ চায় তালতলীর খোট্ররচর বাসী

ত্রাণ নয় বেড়িবাঁধ চাই! ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে আজও আতঙ্কে বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশান বাড়ীয়া ইউনিয়নের খোট্ররচর বাসিন্দারা। বেড়িবাঁধ না থাকায় সামান্য ঝড় ও জোয়ারের পানিতে ডুবে যায় বাড়িঘর রাস্তাঘাট ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। পায়রা নদী সংলগ্ন হওয়ায় খোট্ররচরবাসী ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য নেই কোনো বেড়িবাঁধ। খোট্ররচরবাসীদের দাবি দ্রুত একটা টেকসই বেড়িবাঁধ চায় তাহলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে রক্ষা পাবে।

জানা গেছে, উপজেলার তেঁতুল বাড়িয়া এলাকার বাঁধ কিছুটা ভেঙে নদীতে বিলীনের মুখে রয়েছে।কোনো সংস্কার করা হচ্ছে না। নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের খোট্ররচরবাসী একটি বেড়িবাঁধের জন্য হাহাকার করছে। কোনো মতে বেড়িবাঁধের মত করে রেখেছে কিন্তু অদ্যাবধি কাজ করছে না।

স্থানীয়দের অভিযোগ সিডর, আইলা, বুলবুল, ফনি, আম্ফান ও যশসহ দফায় দফায় প্রাকৃতিক দূর্যোগে সৃষ্টি হয়। যার ফলে খোট্ররচরবাসীর জন্য বেড়িবাঁধ না থাকায় চরম ঝুঁকিতে রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ টেকসই বেড়িবাঁধের জন্য যুগ যুগ ধরে আবেদন-নিবেদন করে আসলেও অদ্যাবধি খোট্ররচর বাসী দের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বেড়িবাঁধ রক্ষায় কেউ এগিয়ে না আসায় ক্ষতি হচ্ছে জান-মাল ও সম্পদের। এনিয়ে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত উপকূল জন পদের মানুষজন।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতিদিন দু’বার জোয়ারের পানি এবং ঘূর্ণিঝড় যশে তাদের ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যে কারণে তারা কাঙ্ক্ষিত ফসল পান না। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন। এছাড়া তাদের পুকুরের মাছ জোয়ারের পানিতে ভেসে যায়।

খোট্ররচর এলাকার বাসিন্দা মো.মিজান হাওলাদার বলেন, তালতলীর বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়ন হয়েছে।কিন্তু নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের খোট্ররচর গ্রামের
এখন ও পর্যন্ত উন্নয়নের ছোয়া লাগে নি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা খোট্ররচরবাসী জন্য টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানাই।

খোট্ররচর এলাকার বাসিন্দা মো.শাজাহান আকন বলেন, পায়রা নদীর সংলগ্নে হওয়ায় আমাদের জোয়ার ভাটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৬ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়।বেড়িবাঁধ দেওয়া খবই জরুরী। তাহলে লবণাক্ত পানির কুপ্রভাব ও জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে আমরা রক্ষা পাব।

খোট্ররচর এলাকার বাসিন্দা মো.জামাল হোসেন বলেন, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের প্রভাবে এবং পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদের অব্যাহত ভাঙনে বাঁধগুলো খুব নাজুক অবস্থায়। কিন্তু খোট্ররচর বাঁধের কোনো খোঁজ রাখে না। প্রবল বর্ষণে তাঁরা পানিবন্দী হয়ে পড়েন খোট্ররচর বাসী। বর্ষা মৌসুম এলেই বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়। এতে বাঁধ টেকসই হয় না।

নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব দুলাল ফরাজী বলেন, খোট্ররবাসীদের জন্য বেড়িবাঁধ খুবই জরুরী। আমরা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে যদি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদয় অবগতি হলে তাহলে বেড়িবাঁধ হওয়া সম্ভবনা আছে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মো.কাইছার আলম কাছে এ বিষয় জানতে চাইলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

আনন্দবাজার/শাহী/ নাদিম

সংবাদটি শেয়ার করুন