দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট্ট শাখা যমুনা নদী, নদী ছোট হলেও পানির ছোবল যেন কঠিন। এমনই আঘাতে পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডে ভবানীপুর গ্রামের মুন্সীপাড়ার বাসিন্দারা যেন চরম ক্ষয়-ক্ষতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসীরা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত পানির ছোবলে কঠিন অবস্থায় কাটে দিন। যদিও বা বর্তমানে শুকনো মৌসুমে নদীতে পানি না থাকলেও সামনের বর্ষাকে ঘিরে চিন্তা গ্রস্থ সাধারণ মানুষ। কেননা একের পর এক বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহের আঘাতে ইতি মধ্য শত শত বিঘা ফসলি জমি হারিয়ে গেছে নদীগর্ভে। আর নদীগর্ভ যেন হয়েছে নতুন চর, বেশ কিছু বাড়ী-ঘর সহ একটি মসজিদও ক্ষতিগ্রস্থের দ্বারপ্রান্তে। দীঘ সময় এমন অবস্থাতেও এসব অসহায়দের পাশে দেখা যায়নি কাউকেও। বর্ষা মৌসুমের আগেই দ্রুত সমস্যা সমাধানের জোরালো দাবী গ্রামবাসীর।
তবে সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কিছু আলোচনা সমালোচনা শুরু হলে পৃথক পৃথক ভাবে সেটি দেখতে ছুটে যান উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু ও পৌর মেয়র আক্কাস আলী। তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান, নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের বিষয়গুলো অত্যন্ত দুঃখজনক। চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু বলেন, বর্ষা মৌসুমের আগেই ভাঙ্গন রোধ কল্পে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি হোক বা স্বেচ্ছা শ্রমেই হোক, সেখানে বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে পানি প্রবাহের গতি পথ পরিবর্তন করে হলেও এর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেয়র আক্কাস আলী সাংবাদিকদের জানান, সহায়-সম্পদ রক্ষাসহ মানুষের জীবন মান উন্নয়নের সকল ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে যোগাযোগ করা হচ্ছে। জরুরি ভাবে এটি সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।
অপর দিকে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ইতিমধ্য নদীর ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি দ্রুত সমাধানে বর্ষা মৌসুমের আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলছে।
আনন্দবাজার/শাহী/কামরুজ্জামান