সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের আইরার কুড় ও দাইড় জলমহালটির ইজারা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ মে) বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে উপজেলার রাজাপুর সততা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এতে সমিতির মৎস্যজীবিদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজাপুর সততা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি সোলেমান মিয়া ,সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক লীগের ধর্মপাশা উপজেলা শাখার সহসভাপতি হানিফ আহমেদ প্রমুখ।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের আইরার কুড় ও দাইড় জলমহালটি উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপানাধীন। রাজাপুর মৌজায় থাকা এই জলমহালটির আয়তন ১৪একর ৬৩শতক। তিনবছর মেয়াদে (বাংলা ১৪২৮সাল থেকে ১৪৩০সাল পর্যন্ত ) ইজারা দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি আহ্বান করে। উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর সততা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড ও আলোর ভুবন মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড এই দুটি সমিতি জলমহালটি ইজারা পাওয়ার জন্য বিধি মোতাবেক উপজেলা প্রশাসনে আবেদন করে।
নীতিমালা অনুযায়ী,জলমহালের তীরবর্তী সমিতি ইজারা পাওয়ার কথা। সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর সততা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড জলমহালটির তীরে অবস্থিত। তবে সমিতির অভিযোগ, এই নিয়ম মানা হয়নি। সরকারি বিধি না মেন জলমহালটি ইজরা দেওয়া হয়েছে আলোর ভুবন মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডকে।
রাজাপুর সততা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি সোলেমান মিয়া বলেন, অ্যাসিল্যান্ড মো.আবু তালেব আর্থিক সুবিধা নিয়ে আমাদের সমিতিটি জলমহালটির তীর বর্ তী হওয়া স্বত্তেও দূরবর্তী সমিতি আলোর ভুবন মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির অনুকুলে ইজারা পাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। অবৈধভাবে ইজারা দেওয়া এই জলমহালটির ইজারা বাতিল করে জলমহালটির তীরবর্তী আমাদের সমিতিটির অনুকুলে দ্রুত ইজারা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু তালেব দাবি করেন,আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা ,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ওই জলমহালটি আলোর ভুবন মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির তীরবর্তী হওয়ায় এটি অনুকুলে আমি প্রতিবেদন দিয়েছি। তদন্ত করলে আমার দেওয়া প্রতিবেদনটারই সত্যতা মিলবে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, তদন্ত করে অভিযোগটির বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনন্দবাজার/শাহী/মোবারক