করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের নবম দিনে সারা দেশেই বেড়েছে জনসমাগম ও যানবাহনের চাপ। তবে দুই সপ্তাহের বিধিনিষেধে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। কোনো সরকারি সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তারা। দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লোকজনের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। ফলে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। কাজ বন্ধ থাকায় তাদের কেউ কাজে নিচ্ছেন না।
চট্টগ্রামে কাজ হারিয়ে বেকার হয়েছে পড়েছেন অনেকে। ফলে পরিবারের ভরণ পোষণ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে। করোনার প্রথম দিকে সরকার ও বিভিন্ন সংগঠন থেকে ত্রাণ সহায়তা পেলেও এবার না পাওয়ার অভিযোগ খেটে খাওয়া এসব মানুষের।
সিলেটে নিষেধাজ্ঞার কারণে মিলছে না কাজ। ঝুঁকি নিয়ে সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনি করেও আয় হচ্ছে সামান্যই। হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
খুলনায় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে কাজে নেমেছেন রিকশাচালক, ইজিবাইক চালকসহ শ্রমজীবী মানুষ। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় নেই মানুষের তেমন আনাগোনা। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
এদিকে, কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে আবারো খুলে রাজশাহীর আরডিএ মার্কেটের দোকানগুলো। ব্যবসায়ীরা জানান, কর্মচারীরা বেতন না পেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।
এছাড়া, খাদ্য সহায়তার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ফরিদপুরের পরিবহন শ্রমিকরা। শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে জেলার শতশত বাস শ্রমিক এতে অংশ নেন। বিধিনিষেধের সময়সীমা আর না বাড়ানোর দাবি বিভিন্ন পেশার খেটে খাওয়া মানুষের। পাশাপাশি টিকে থাকতে কিছুটা হলেও সরকারি সহায়তার প্রত্যাশার কথা জানান তারা।
আনন্দবাজার/শহক