ঢাকা | বুধবার
১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলমাকান্দায় মহাদেও নদীর নুড়ি পাথরে অবৈধ হস্তক্ষেপ না করতে হাইকোর্টে রিট

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্তবর্তী মহাদেও নদী ও এর দুই তীরের নুড়ি পাথরে অবৈধভাবে অন্য কারো হস্তক্ষেপ না করতে হাইকোর্টে রিট দাখিল করেছেন নুড়ি পাথরের বৈধ ইজারাদার তুহিনময় বিশ্বাস তমু। রিট পিটিশন নম্বর ৪৩২৮/২১, হাইকোর্ট বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।

সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়, খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করে দায়ের করা এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মামলার বাদী তুহিন ময় বিশ্বাস তমু উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সবাইকে অনুলিপি দিয়ে একটি সতর্কতামূলক অবহিতকরণ পত্র দিয়েছেন।

যে পত্রে মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের সাবেক চেম্বারের জুনিয়র ও বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম রবিউল হাসানের আইনি মতামত সংযুক্ত করে বলা হয়েছে যে যেহেতু ক্ষতিগ্রস্ত ইজারাদার যৌক্তিক ও আইনসঙ্গত কারণ দেখিয়ে সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছেন এবং সুবিচারের জন্য মহামান্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন, সেহেতু হাইকোর্টের সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তের পূর্বে এই নুড়ি পাথরে কেউ হাত দিলে কিংবা হাত দেওয়ার পর উপজেলা বা জেলা প্রশাসন তা থেকে হস্তক্ষেপকারীদের বিরত রাখার চেষ্টা না করলে তা হবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি অবমাননা।

এমতাব্যস্থায় উক্ত নুড়ি পাথরে বালুমহালের ইজারাদার, স্থানীয় অন্য কোনো বেআইনি পক্ষ যেন এতে হাত না দেয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি ইজারাদার তার নিলামের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যে পাথর স্টক করে রেখেছিলো সেই পাথর অপসারণে যেন কোনো বাঁধা দেওয়া না হয়, সেই ব্যাপারেও উকিল নোটিশের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে সকল পক্ষকে।

উল্লেখ্য ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর কলমাকান্দা উপজেলা প্রশাসন সীমান্তবর্তী মহাদেও নদী ও এর আশেপাশে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত নুড়ি পাথর নিলামে দিলে তা প্রায় ৭৩ লক্ষ টাকা (ভ্যাট,আয়করসহ) দিয়ে ইজারা নেন তুহিনময় বিশ্বাস তমু। পরবর্তীতে মাত্র ১৫ দিন সময়ে এত টাকার পাথর অপসারণ সম্ভব নয় বলে ইজারাদার কিছু পাথর আশেপাশে স্টক করে রেখে তা আস্তে অপসারণ করতে গেলে কুচক্রী মহলের বাঁধার সম্মুখীন হলে তিনি উকিল নোটিশ দিয়ে সবাইকে সতর্ক করে দেন। একই সাথে যে পাথরটা নদী থেকে গোডাউনে স্টক করাও সম্ভব হয়নি তা অপসারণের জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে উপজেলা প্রশাসন বরাবর আবেদন করা হয়। আবেদন গ্রহণ করেও কোনো সাড়া না দেওয়ায় এবং উক্ত নদীর বালুর ইজারাদাররা পাথর হাত দেওয়ায় পাথরের ইজারাদার হাইকোর্টে মামলা করলে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই সতর্কতা নোটিশ দেওয়া হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন