করোনার জন্য এক বছর ধরে বন্ধ নদী থেকে বালু ও পাথর উত্তোলন। ফলে বেকার হয়ে গেছেন সুনামগঞ্জের ৫০টিরও বেশি গ্রামের ৩ লক্ষাধিক শ্রমিক। বালু আর পাথর বিক্রি করেই চলতো তাদের সংসার। ফলে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
সুনামগঞ্জের সীমান্তঘেষা নদী যাদুকাটা। প্রতিবেশী দেশ ভারতের পাহাড় সংলগ্ন হওয়ায় এখানে প্রাকৃতিকভাবেই বছরের পর বছর ধরে বালু পাথর আহরণ করে তা বিক্রি করে সংসার চালিয়ে আসছেন স্থানীয় ৫০টি গ্রামের ৩ লাখেরও বেশি শ্রমিক।
কিন্তু গত বছর করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেয়া হয় বালু ও পাথর উত্তোলন। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন শ্রমিকরা। এখনো কাজে নামতে না পারায় মানবেতর জীবনযাপন করা শ্রমিকরা নদীর তীরেই মানববন্ধন করেছেন।
স্থানীয় কয়েকজন শ্রমিক বলেন, তিন লাখ মানুষ এখানে কাজ করেছি। এখন সব বন্ধ রয়েছে। আমাদের পেটে ভাত নেই। এভাবে সব বন্ধ করে দিলে না খেয়ে মরতে হবে। খোঁজ নিয়ে দেখেন কয়জনের ঘরে চাল আছে।
এই নদীগুলো থেকে বালু আর পাথর উত্তোলনে ইজারা থেকে সরকারও পেতো মোটা অংকের রাজস্ব। বর্তমানে ইজারা হলেও কিছু জটিলতায় এখনো বালু আহরণ বন্ধ রয়েছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন টেলিফোনে জানান, হাইকোর্টে এ সম্পর্কিত একটি মামলা চলমান রয়েছে। মামলার বিষয়টি নিষ্পত্তি হলেই খুলে দেয়া হবে। খুব বেশি দেরি হবেনা।
জটিলতা কাটিয়ে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের।
আনন্দবাজার/শহক