আজ পহেলা বৈশাখ। নতুন সূর্যোদয়ের সঙ্গে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নেবে আরো একটি বছর। সূচনা হবে নতুন আরেকটি বাংলা সাল। শুভ নববর্ষ। বিদায় ১৪২৭, স্বাগত ১৪২৮। এবারও বাংলা নতুন বছর উৎসব বিধিনিষেধের বেড়াজালে। বিকল্প হিসেবে যার যার ঘরে উদযাপন। একইসঙ্গে ডিজিটালি বা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠান সম্প্রচার। কারণটা, করোনার বিস্তর সংক্রমণ। অর্থাৎ গতবারের পহেলা বৈশাখ যেভাবে উদযাপিত হলো, এবারও তাই পুনরাবৃত্তি।
প্রতি বছর দিনের প্রথম অনুষ্ঠান, সেই রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজন এবারও হচ্ছে না। ছায়ানট এবার ১ ঘণ্টার অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। যা সম্প্রচারিত হবে বিটিভিতে সকাল ৭টায়, একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে। কিছু পরিবেশনা আগের রেকর্ড করা, কিছু পরিবেশনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সরাসরি। অথচ এবার তাদের পরিকল্পনা ছিলো, অন্তত রমনা বটমূলে নিজস্ব পরিবেশনাগুলো রেকর্ড করে পহেলা বৈশাখের দিন সম্প্রচার করা। করোনার অত্যাধিক সংক্রমণে সেটিও বাদ দিতে হয়েছে।
দিনের অন্যতম বর্ণময়, গতিময় ও জমজমাট আয়োজন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবারও তা বড় পরিসরে হচ্ছে না। ‘কাল ভয়ংকরের বেশে, এবার ঐ আসে সুন্দর’, এই প্রতিপাদ্যে এবার নিজেদের প্রাঙ্গণে ১০০ জন মিলে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়েছে। এর রেকর্ড করা ভিডিও পহেলা বৈশাখের দিন সকাল ৯টায় সম্প্রচার করা হবে। চারুকলার বাইরের দেয়ালে আল্পনা আঁকা হয়েছে, চিরায়ত বাংলার নানা অনুষঙ্গে।
পহেলা বৈশাখের উৎসবমুখর আর যতো আয়োজন থাকে রাজধানীজুড়ে, প্রতিটি স্থান এবারো নিষেধাজ্ঞার কড়াকড়িতে নীরব থাকবে, থাকবে রঙহীন।
কী এক নিদারুণ সময় পার করছে বিশ্ব! কারণ, হেতু, যাই হোক, দূরত্ব মানাটা অত্যাবশ্যক, নিজেদেরই কল্যাণের স্বার্থে। আর দূরত্ব মেনে কি উৎসব হয়? হয় না। তবু ঘরবন্দি থেকেই নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে সবার প্রার্থনা, দূর হোক মহামারি, সার্বিক মঙ্গল হোক সবার।
আনন্দবাজার/শহক