ঢাকা | রবিবার
১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝুকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই জনগণের ভরসা, ব্রীজ নির্মাণের দাবী এলাকাবাসীর

খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনি ও তালা উপজেলার কানাইদিয়াস্থ কপোতাক্ষ নদের উপর অবস্থিত ঝুকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই দু’পারের হাজার হাজার লোকের একমাত্র পারা পারের মাধ্যম। দু’এলাকায় দুজন সংসদ সদস্যের কাছে এলাকাবাসীর দাবী দ্রæত সময়ের মধ্যে একটা ব্রীজ নির্মানের ব্যবস্থা করে জনগনের ভোগান্তি লাঘব করা হোক।

খুলনা জেলার পাইকগাছা ও সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার সীমান্ত এলাকার নাম কপিলমুনি ও কানানাইদিয়া। এ সীমান্তে অবস্থিত কপোতাক্ষ নদের উপর প্রায় ১৫ বছর আগে দু’পারের লোকেরা যৌথভাবে বাঁশ দিয়ে সাঁকো নির্মান করেন। নদটি প্রবহমান থাকা কালে এখানে খেয়াঘাট ছিল। পরে তার ভরাট হয়ে যাওয়ায় নৌ চলাচল এক সময় সম্পুর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে সরকার কপোতাক্ষ নদটি খনন করে। ফলে নদে আবার জোয়ার ভাটা শুরু হয়। দু’পারের লোকদের দাবীর প্রেক্ষিতে সরকার কপিলমুনি বাজারের উপর দিয়ে ব্রীজ নির্মানের উদ্যোগ নেয়। নির্মান করে অনেকগুলো পিলার। যা আদালতে মামলার কারনে কোন অগ্রগতি হয়নি। তবে খেয়াঘাট যথারীতি চালু রেঁখে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করছে।

তালা উপজেলার জালালপুর ও খেশরা ইউনিয়নের ১৯ টি গ্রামের হাজার হাজার লোক এ ব্রীজ দিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে বলে জানান, স্থানীয় কানাইদিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী শেখ মাহবুবুর রহমান। পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ও হরিঢালী ইউনিয়নের শ’শ’ লোক প্রতিদিন ঝুকি নিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন সাকোটি। বর্তমান সাঁকোটি খুবই ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা এখানে একটি ব্রীজ নির্মানের জন্য তালা-পাটকেলঘাটা ও পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্যের কাছে দীর্ঘদিন ধরে দাবী জানিয়ে আসছেন।

খুলনা জেলার পাইকগাছার অন্যতম বানিজ্যিক শহর বলা হয় কপিলমুনির বিনোদগঞ্জকে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারী কাঁচা মালামাল বিকিকিনি করতে দেখাযায়। যা দেশ বিদেশে রপ্তানি করা হয় বলে জানা যায়, স্থানীয় সুধী ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে। একারনে এর আরো গুরুত্ব বহন করছে। কপিলমুনি ইউপি চেয়াম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার জানান, এ খেয়াঘাটটি খুবই ব্যস্ততম একটা ঘাট। দু’পারের লোকদের যাতায়তের জন্য কপোতাক্ষ নদের উপর ব্রীজ নির্মানের কোন বিকল্প হতে পারে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন