সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। তবে লকডাউনের মধ্যেও শিফটিং ডিউটি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে শিল্পকারখানা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। শনিবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীতে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, লকডাউনের মধ্যে জরুরি সেবা দেয় এমন প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। শিল্পকলকারখানাও খোলা থাকবে। শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে, ভিন্ন ভিন্ন শিফটিংয়ের মাধ্যমে কলকারখানায় কাজ করতে পারে।
এর আগে শনিবার (৩ এপ্রিল) সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিজ বাসভবনে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে লকডাউন এর তথ্য নিশ্চিত করেন।
মহামারি আকার ধারণ করা করোনায় গত কয়েক দিনের ধারাবাহিক শনাক্ত ও মৃত্যু ভয়ংকর রূপ ধারণ করার পর সরকার এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিল।
এর আগে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কয়েক দিন আগে দুই সপ্তাহের জন্য ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার। নির্দেশনায় সব ধরনের জনসমাগম (সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/অন্যান্য) সীমিত, উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ, বিয়ে/জন্মদিনসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করার নির্দেশনা দেয় সরকার।
এ ছাড়া মসজিদসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করা, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী বহন না করা, যান চলাচল সীমিত করা, বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা, সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ৫০ ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালনা করাসহ ১৮ নির্দেশনা জারি করে সরকার।
আনন্দবাজার/শহক