মহামারি করোনা প্রাদুর্ভাব আশংকাজনক হারে বাড়তে থাকায় সুন্দরবনের সকল পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে বনবিভাগ।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, হঠাৎ করে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ধারণ করায় আগামী ৩ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বনের সকল পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনাও জানিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বনবিভাগ জানায়, গত ২৬ মার্চ পর্যন্ত সুন্দরবনে পর্যটকদের আনাগোনা ছিল বেশ ভালই। তবে এরপর থেকে তা কমতে থাকে। গত ২৬ মার্চ শুক্রবার মোংলা থেকে সুন্দরবনের সবচেয়ে কাছাকাছি ও আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র করমজলে পর্যটকের সংখ্যা ছিল এক হাজারের মত। শুক্রবারের আগে বৃহস্পতিবার যা ছিল প্রায় ১শ আর বুধবারে ছিল মাত্র ৫০/৬০ জনের মত। এরপর গত ২ মে শুক্রবার সেখানে পর্যটক হয়েছে মাত্র দেড়শ জন।
এরইমধ্যে আগামী ৩ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে করোনার কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সুন্দরবনে বন্ধ ছিল পর্যটকের ভ্রমণ। এরপর ওই বছরের নভেম্বর পুনরায় সুন্দরবন দর্শনার্থীদের জন্য উম্মুক্ত করা হয় স্বাস্থ্য বিধি মানাসহ নানা শর্তে। সে সকল শর্ত মেনেই যাতায়াত অব্যাহত ছিল পর্যটক ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
গত ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এ পর্যটকদের দিয়ে বনবিভাগের আয় হয়েছিল প্রায় ১৫ লাখ টাকা। আর ২০২০ সালের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকার পর ওই বছরের নভেম্বর হতে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত বনবিভাগের আয় হয়েছে প্রায় ৮ লাখ টাকা।
করমজল বন্যপ্রাণী ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আজাদ কবির বলেন, গত ২৬ মার্চ শুক্রবারের পর থেকেই পর্যটকদের আনোগোনা কমে গেছে। মুলত করোনার প্রকোপ বাড়াতে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা ও আক্রান্ত ঝুঁকির আশংকায় লোকজন আসা কমে গেছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, সন্ধ্যায় আমার উর্ধতন কর্মকর্তা পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমণের ক্ষেত্রে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সকল পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
আনন্দবাজার/শাহী/সুজন