একদিন আগেই সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, যেকোনো পরিস্থিতিতে বইমেলা চলবে। তবে বইমেলা যে এভাবে চলবে সে ধারণা ছিল না কারোরই। গতকাল নতুনভাবে বইমেলার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।
বাংলা একাডেমির এমন সিদ্ধান্তকে ‘হটকারী’ বলছেন প্রকাশকরা। তারা জানান, বইমেলার যে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে সে সময় মেলায় কোনো বিক্রিই হয় না। মেলার বিক্রি হয় বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এই সময়সীমায় বইমেলা খোলা রাখা প্রকাশকদের জোর করে ক্ষতির মুখে ফেলা হবে।
এ ব্যাপারে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ জানান, বাংলা একাডেমি কোনো আলোচনা না করেই নতুন এ সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। খবরটি জেনেছি সাংবাদিকদের কাছ থেকে। আজ বৃহস্পতিবার মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি জানাব।
বইমেলার অন্যান্য প্রকাশক জানান, যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য। এই সময়সীয় প্রকাশকদের মেলার স্টল খরচের টাকাও উঠবে না। মেলার সময়সূচি বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত করার দাবি জানান প্রকাশকরা।
এ ব্যাপারে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে বইমেলার সময়সীমা তাৎক্ষণিক পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর আগে সরকারের এই সিদ্ধান্তের আগে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ জানিয়েছিলেন, বইমেলা বন্ধ হবে না। এখন পর্যন্ত বইমেলা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঠিকঠাক চলছে। যারা বইয়ের মূল প্রেমিক তারাই আসছেন বইমেলায়। কয়েক দিন ধরে বিক্রিও বেড়েছে। তাই বইমেলা বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আনন্দবাজার/টি এস পি