হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল সমর্থনে রোববার (২৮ মার্চ) সকাল থেকে উত্তপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া। জেলার বিভিন্ন সড়কে আগুন জ্বালিয়ে, গাছ ও খুঁটি ফেলে অবরোধ করেন মাদরাসাছাত্ররা।
এছাড়া শহরের ফুলবাড়িয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের বাসভবনে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কুলে ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে, পৌরসভায়, জেলা পরিষদ, প্রেসক্লাবে, দক্ষিণ মৌড়াইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলের বাড়িতে, সরকারপাড়ায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
অন্যদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম গামী সোনার বাংলা ট্রেনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করা হয়।
বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল ছোড়ে। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সৈয়দ আরিফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে আসা আহতদের মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ রয়েছেন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, ‘আজকের পরিস্থিতি আপনারা নিজেরাই দেখছেন। জনগণের জানমালের রক্ষায় আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এসব তাণ্ডব চালাচ্ছে জামায়াত, শিবির ও বিএনপি।’
আনন্দবাজার/শহক