প্রায় ৮ ঘণ্টা পর শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন পরিণত হয়েছে এক ধ্বংসস্তূপে। রাতে ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করে সেখানে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদ এবং হাটহাজারীতে মাদ্রাসা ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় ওইদিন বিকেল ৪টায় এই স্টেশনে হামলা চালায় মাদ্রাসা ছাত্ররা। এসময় স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এরপর আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় সবকিছু। স্টেশনের সবকক্ষের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্টেশনের আশপাশে রেললাইন, সিগন্যাল ব্যবস্থা, রেলক্রসিংয়ের গেইট গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
স্টেশন মাস্টার মো. শোয়েব জানান, এই পরিস্থিতির কারণে বিকেল ৪টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর লাইন মেরামত করার পর রাত ১২টা থেকে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে ট্রেন চলাচল করছে মেইন লাইন দিয়ে। এই স্টেশনে ট্রেন যাত্রাবিরতি করলেও যাত্রীরা ট্রেনে উঠানামা ছাড়া আর কোন সেবা পাবেন না। কোন টিকিটও মিলবে না।
ক্ষয়ক্ষতির প্রশ্নে জানান, উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসছেন তারা দেখে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবেন। স্টেশন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কতো সময় লাগবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। রেলস্টেশনে জিআরপি পুলিশ ফাঁড়িতেও হামলা হয়। রাতে ফাঁড়িতেও ছিলো ভূতুড়ে পরিবেশ। স্টেশন ছিলো অরক্ষিত। এই সুযোগে বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিতে দেখা যায়।
আনন্দবাজার/শহক