রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ-হেফাজতে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হাটহাজারী, গুলিতে ৪ জন নিহত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের হাটহাজরীতে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ থামাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন ৪ ছাত্র, আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।

আজ শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ৩টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শিলব্রত বড়ুয়া।

তিনি জানান, হাটহাজারী থেকে গুলিবিদ্ধ ৪ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাৎক্ষণিক নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। আহত রয়েছে অর্ধশতাধিক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রক্তাক্ত অবস্থায় দুই পুলিশ সদস্য হেফাজতের কাছে আছে বলছে পুলিশ। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হকসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধীতায় জুমার নামাজের পর বেলা সোয়া ২টার দিকে হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর বিশাল মিছিল বের হয়। মিছিলে পুলিশ বাধাঁ দিলে হেফাজতের নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। এক পর্যায়ে হেফাজতের নেতারা হাটহাজারী থানা কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে তাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। তাতেও কাজ না হওয়ায় পরে রাবার বুলেট ও বুলেট নিক্ষেপ করে। এসময় তারা ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও ডাক বাংলোতে হামলা চালায় এবং পুরো এলাকা তখন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়ে যায়। হেফাজতের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রাস্তায় অবস্থান নেয়। এসময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে ছত্রভঙ্গের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা রাবার বুলেট ও শটগানের গুলি ছুড়তে শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষের পর হেফাজতের আহত বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে রিকশাভ্যানে করে নিরাপদে সরিয়ে নিতে দেখা যায়।

আরও পড়ুনঃ  চকরিয়ায় বাস-মিনি ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত-১

হেফাজতের প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজী বলেন, ‘পুলিশ হেফাজত কর্মীদের ওপর গুলি চালিয়েছে। আমাদের একাধিক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মছিউদ্দৌল্লাহ রেজা বলেন, ‘মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে বিনা উস্কানিতে হেফাজত কর্মীরা থানায় হামলা চালায়। তারা থানা কম্পাউন্ডে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।’

হাটহাজারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখনও মাদরাসার সামনে তাদের পাঁচ পুলিশ সদস্য আটকা পড়ে আছেন ও দুই পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’

আনন্দবাজার/শাহী/মতিন

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন