ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চকরিয়া নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রচারণায় মেয়রসহ কাউন্সিলর প্রার্থীরা

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পৌর নির্বাচনে প্রতীক পেয়েই নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমে পড়েছেন পৌরসভার মেয়রসহ কাউন্সিলর প্রার্থীরা। প্রতীক পেয়ে প্রার্থীরা মাঠে নতুন সাজে প্রচারণা শুরু করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে লিফলেট সম্বলিত প্রচার, কেউ বা পোস্টারে আর কেউ কেউ মাইকিং এ প্রচাররণা শুরু করে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সকালে উপজেলা মোহনায় হলরুমে মেয়র ও কাউন্সিল প্রার্থীদের মাঝে এই প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এই নির্বাচনে মেয়রসহ ৬৮ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সরেজমিনে পৌর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মেয়রসহ কাউন্সিল প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রতীক পেয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন। পৌর নির্বাচনের শুরুতেই প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় পুরো পৌরসভা জুড়ে।

এতদিন প্রার্থীরা অনেকটা নীরবে-নিবৃত্তে প্রচারণা চালালেও আজ তারা স্ব-স্ব প্রতীকে জোড়ে-শুড়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিকাল থেকেই মাইকিং করে তুমূল আওয়াজে প্রার্থীদের সালাম দিয়ে সরগরম করে তুলছেন নির্বাচনী প্রচারণা। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা স্ব স্ব প্রার্থীদের সমর্থনে রাস্তায় নেমে এসে করতালি ও স্লোগানে মেতে উঠেছেন। আবার কেউ কেউ ভোটারদের মধ্যে প্রচারপত্র বিতরণ করে নিজেকে ভোট দেওয়া ভোটারদের অনুরোধ করছেন। সব জায়গাতেই প্রার্থী এবং ভোটারদের মধ্যে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময়ে অন্য রকম এক পরিবেশের সৃষ্ঠি হয়েছে। আবার কোন কোন প্রার্থী মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করছেন আবার হিন্দু প্রার্থীরা মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করছেন।

আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী নৌকা প্রতীক এবং নারিকেল গাছ প্রতীক পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর জিয়াবুল হক নির্বাচন কার্যালয় প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় শুরু করে দিয়েছন।

এছাড়া জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মনোয়ার আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট ফয়সাল সিদ্দিকী কম্পিউটার প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় নেমে পড়েছেন।

চকরিয়া পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, ৯টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫০ জন, এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৪জনসহ সর্বমোট ৬৮জন প্রার্থী মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে যাতে কোন ধরনের সহিংসতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় সজাগ থাকবে।

তিনি আরো বলেন, প্রথম বারের মতো ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছে ৪৮ হাজার ৭২৪ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৫ হাজার ৮৯৯ জন এবং নারী ভোটার রয়েছে ২২ হাজার ৮২৫জন।

আনন্দবাজার/শাহী/রাজু

সংবাদটি শেয়ার করুন