ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুলার হাট থানার ওসির মোটরসাইকেল সহ ৩টি গাড়ি চুরি

চরফ্যাসন দুলারহাট থানা এলাকায় একের পর এক বেড়েই চলেছে চুরির ঘটনা। চোর আতঙ্কে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। বিশেষ করে চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নে রাতের ঘুম হারাম করে দিয়ে বুধবার রাতে দুলারহাট থানার তদন্ত ওসি আলাউদ্দিন এর গাড়ি, নুরাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুমন এর গাড়ি, পল্লী চিকিৎসক, কামরুল ইসলামের গাড়ি সহ মোট ৩টি মোটরসাইকেল নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরচক্র।

দিনে দুপুরে ও রাতের আধারে মোটর সাইকেল চুরির হিড়িক পড়েছে গত এক বছরে উপজেলা জুড়ে। প্রায় শতাধিক মোটর সাইকেল চুরি হলেও কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। চোর চক্রের অন্যান্য সদস্যদের আটক করতে পারেনি। চরফ্যাসন উপজেলার শশীভুশন, দক্ষিণ আইচা, ও দুলারহাট থানা পুলিশ। এ কারণে ক্ষোভ বেড়েছে পুলিশের উপর।

এছাড়া দুলারহাট বাজারেও গত দুই বছরে প্রায় ৪০ টি দোকান ঘর চুরি হয়, ইদানিং প্রায় প্রতি রাতেই দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটলেও অজ্ঞাত কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তি জানান একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও কি কারণে থানায় মামলা, জিডি এমনকি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়না এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।

সম্প্রতি চরফ্যাশন উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় দিনে দুপুরে ও গভীর রাতে বেশ কয়েকটি বাড়ীতে অভিনব কায়দায় গ্রীল ভেঙে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় মোটরসাইকেল, দোকান পাট ও ঘর বাড়ি চুরি যেন চোরচক্রের হাতের মোয়া হয়ে দাড়িয়েছে।

এদিকে বুধবার রাতে দুলারহাট থানার তদন্ত ওসির একটি পালসার মোটর সাইকেল নুরাবাদ ৪নং ওয়ার্ডের ভাড়া বাসা থেকে চুরি হয়েছে একই রাতে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুমনের পালসার মোটরসাইকেল ও দুলারহাট বাজারের পল্লী চিকিৎসক কামরুল ইসলামের হোন্ডা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র।

কিছু দিন আগে দুলারহাট বাজারের ফোন ফ্যাক্স ও বিকাশ ব্যবসায়ী জানান দোকান ও রাতের আঁধারে চুরি হয়েছে আমি এই ঘটনা বাদী হয়ে মামলা করিনি একটা মামলা হবে কিছুদিন পরে আসামি জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার চুরি করবে মামলায় হাজিরা দিতে দিতে ১০-১২ বছর লাগে বিচার হইতে আমরা ব্যবসায়িক মানুষ এতো কস্ট করে মামলা চালানো সম্ভব নয়।

এই চিন্তা চেতনা করে এলাকাবাসী কেউ বাদী হতে রাজি হয় না। এছাড়া উঠতি বয়স্ক মাদকসেবীদের এই চুরির ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।

এছাড়া উপজেলা জুড়ে দিনে-রাতে একের পর এক দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে কিন্তু অজ্ঞাত কারণে প্রশাসনের সন্তোষজনক ভূমিকা না থাকায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, চোর চক্রটিকে গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ।

সংঘবদ্ধ চোরচক্রকে চিহ্নিত পূর্বক আটক করতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

এবিষয়ে দুলারহাট থানা পুলিশ তদন্ত মোঃ আলাউদ্দিন জানান আমরা চুরির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি এখনো পর্যন্ত মোটরসাইকেল সন্ধান পাওয়া যায়নি তবে চেষ্টা অবহৃত আছে।

আনন্দবাজার/শাহী/তুহিন

সংবাদটি শেয়ার করুন