ঢাকা | মঙ্গলবার
৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা

দেশে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ওঠানামা করার পর হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু করেছে। এর ধারাবাহিকতায় কুড়িগ্রামের করোনা পরিস্থিতি গত ৩ মাসের রেকর্ড ভেঙেছে। গত বছরের ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাসে কোন করোনা রোগী শনাক্ত না হলেও মার্চ মাস শেষ না হতেই ইতিমধ্যে জেলায় ৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস।

কুড়িগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন অফিস আরও জানায়, চলতি মাসে (২৩ মার্চ পর্যন্ত) মোট ৪ জনসহ জেলায় মোট ১ হাজার ২৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে মোট ১ হাজার ২ জন রোগী সুস্থ হলেও ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ ২২ মার্চ মোট ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হলে ১ জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসলে তাকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়। এ নিয়ে জেলায় মোট হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীর সংখ্যা ১০ জন। এছাড়াও গত ২৩ মার্চ ৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হলে রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস।

অপরদিকে, করোনা প্রতিরোধে সারাদেশে চলমান টিকাদান কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলায় টিকাদান অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে জেলায় গত ২৩ মার্চ বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন মোট ৫৪ হাজার ৩৭২ জন। এর বিপরীতে গত ২৩ মার্চ পর্যন্ত টিকা গ্রহণ করেছেন মোট ৪০ হাজার ৫৭৩ জন। এক্ষেত্রে মোট ২৬ হাজার ৮৭৩ জন পুরুষ টিকা গ্রহণ করলেও মোট ১৩ হাজার ৭০০ সংখ্যা নিয়ে নারীরা টিকা গ্রহণে অনেক পিছিয়ে আছেন।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আবারও মাঠে নেমেছে সারাদেশের পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ মার্চ থেকে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ মাস্ক বিতরণ সহ নানান কর্মসূচি পালন করছে। এছাড়াও জেলায় ‘নো মাস্ক, নো সার্ভি’ ক্যাম্পেইন অব্যাহত রেখেছে জেলা পুলিশ।

কুড়িগ্রামে ২য় ধাপের করোনা প্রতিরোধে কতটা প্রস্তুত এমন প্রশ্নের জবাবে কুড়িগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন হাবিবুর রহমান জানান, আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে। এবং পূর্বের মতই কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালসহ জেলায় মোট ৯০টি আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে হোম আইসোলেশনে থাকা ১০ জন রোগীকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলেও উল্লেখ করন তিনি।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন