পুঁজি সংকট ও উদ্যোক্তাবান্ধব নীতি না থাকায় মাঝপথে ভঙ্গ হচ্ছে অনেক তরুণ উদ্যোক্তার স্বপ্ন। তাদের দাবি, শুধু প্রশিক্ষণ দিয়েই ছেড়ে না দিয়ে সহজ শর্তে ঋণ দেয়াসহ উদ্যোক্তাবান্ধব পলিসি তৈরি করতে হবে। তবে, “উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন” প্রকল্প পরিচালকের মতে, সঠিক ব্যবসা পরিকল্পনার অভাব ও খাতভিত্তিক প্রশিক্ষণ না থাকা উদ্যোক্তা সৃষ্টির বড় বাধা।
ইসরাত মুন্নি। মাস্টার্স শেষে চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ছোট্ট বুটিক হাউজ দিয়ে যাত্রা শুরু করেন। দুই বছর আগের শুরুটা স্বল্প পুঁজি দিয়ে হলেও আর্থিক জোগানের অভাবে এই তরুণ উদ্যোক্তার স্বপ্ন এখন ভঙ্গের পথে।
ইসরাত মুন্নি বলেন, ব্যবসায়ের প্রথম স্টেজ পার করে যখন দ্বিতীয় স্টেজে যাই। সে সময়ে আমাদের টাকার প্রয়োজন হয়। তখন আমরা বিভিন্ন ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানে যাই তারা বলে জামানত প্রয়োজন। যদি আমাদের কাছে টাকা থাকত তাহলে অন্যদের কাছে টাকা কেন চাইব।
উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, শুধু প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলেও পুজির অভাব ও ব্যবসায়িক কাগজপত্র করতে নানা জাটিলতায় মাঝপথেই থেমে যেতে হয় তাদের। এ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও ব্যবসার জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম সৃষ্টিতে সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চায় বেসরকারি ফাউন্ডেশনগুলো।
তরুণ উদ্যোক্তা, বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্লাটফর্মের সিইও মাসুম খান বলেন, ব্যবসায়ের জন্য একটা ট্রেড লাইসেন্স করতে এত সময় লাগে এত টাকা খরচ করতে হয়। লাইসেন্স করতে করতে ব্যবসার পুঁজি থাকে না। ‘নিজের বলার মতো’ একটা গল্প ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইকবাল বাহার জাহিদ বলেন, সরকারের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের একটি এমও স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ ছাড়াও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চুক্তি হয়েছে। তারা উদ্যোক্তাদের ঋণ দেবে।
প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সঠিক ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ও পুঁজির জোগান সফল উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে মনে করেন বিডা’র প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ খান।
তিনি বলেন, কোন সেক্টরে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকি কম সেগুলো আমরা চিহ্নিত করে দিচ্ছি। এ ছাড়া ফান্ড সংগ্রহের ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিচ্ছি। সরকারিভাবে ২৪ হাজার উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ বাবদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প চলমান বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
আনন্দবাজার/শহক