আমাদের সবার জীবনেই আশ্রয়ের দরকার পড়ে, দরকার না ঠিক প্রয়োজন পড়ে। দরকার বললে বিষয়টা স্বার্থপরের মতো লাগে শুনতে। আমাদের একেক জনের কাছে “আশ্রয়” একেক রকম। সন্তানের কাছে পিতা-মাতা যেমন আশ্রয়, কবির কাছে যেমন কবিতা আশ্রয়। ঠিক তেমনি কারও কারও কাছে আশ্রয় মানেই হচ্ছে এক টুকরো জমি, মাথা গোঁজার খানিকটা জায়গা। আবার অন্য কারও কাছে আশ্রয় মানেই একটা বিশ্বস্ত হাত-কাঁধ-বুক, কারও কাছে আশ্রয় মানেই একটা সাজানো সুখের সংসার। আবার কারও কাছে আশ্রয় মানেই একটা চাকুরি, আশ্রয় মানেই শুধুই বেঁচে থাকার রসদ। আর আমাদের সমাজে এমন আশ্রয়ের খোঁজে আমরা সবাই সবার নিজ নিজ জায়গা থেকে হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খেটে যাচ্ছি, দিনের পর দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছি, দিনশেষে ক’জনই বা ঠিকঠাক আশ্রয় খুঁজে পেয়েছি? পাচ্ছি? সে খবর কি আদৌ আমরা কেউ রাখি? অথচ অনেকেই একটুখানি আশ্রয় খুঁজে না পেয়ে হারিয়ে ফেলছে নিজেকে।
কোথাও আর আশ্রয় হয় না বলেই নিজে নিজে বেছে নিয়েছে আত্মহত্যার পথ, আলিঙ্গন করে নিচ্ছে মৃত্যুকে। অথচ জীবনের কঠিন সময়ে একটুখানি মুখ বুজে, দাঁতে দাঁত চেপে খারাপ সময়কে সহ্য করে ধৈর্য ধরতে পারলেই এই পৃথিবীতে কোথাও না কোথাও তার ঠিকই একদিন আশ্রয় মিলে যেত। আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া এমনসব গল্পগুলোকে, ভাবনাগুলোকেই মূলত বইয়ের মলাটে রুপ দেয়া।
বইটি সম্পর্কে দেবব্রত ভৌমিক বলেন, “আমার নিজেরও মাঝে মাঝে খুব হতাশ লাগে, আমিও কারও কাছে আশ্রয় খুঁজি, কোন একটা প্রিয় জায়গায় আশ্রয় খুঁজি, পরিবারের মানুষ, প্রিয় মানুষদের মাঝে আশ্রয় খুঁজি। মাঝে মাঝে যখন নিজের কাছে নিজের খুব হাঁসফাঁস লাগে, অস্বস্তি লাগে, আমি সব কথা মন খুলে বলতে পারলে মনে ভরসা পাই, শান্তি পাই। আমি মনে করি সবার জীবনেই এমন কিছু “আশ্রয়” এর জায়গা থাকে। পাঠক আমার লেখায় নিজেদের “আশ্রয়” খুঁজে পাক। খুব করে চাই আমার লেখা গল্পগ্রন্থ “আশ্রয়” এর শেষ ঠিকানা হোক পাঠকের হৃদয়“
দেবব্রত ভৌমিকের লেখা ৫ম গল্পগ্রন্থের বই “আশ্রয়” প্রকাশিত হতে যাচ্ছে “বর্ষাদুপুর” প্রকাশনী থেকে, স্টল নং -২৬২, ২৬৩, ২৬৪। এছাড়া লেখকের অন্যবইগুলো হলো বেনামী, গল্পটা আমাদের, অ-মানুষের গল্প, অধিকারনামা। লেখকের সবগুলো বই পাওয়া যাবে “বর্ষাদুপুর” প্রকাশনীতে।
আনন্দবাজার/শাহী