কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের নিম্নাঞ্চল খ্যাত বক্সগঞ্জ ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে কৃষি জমিতে কচুরিপানা থাকায় চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। এতে করে উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এজন্য কচুরিপানাগুলো সরিয়ে জমিগুলো আবাদযোগ্য করে দেওয়ার জন্য কৃষি বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে ঘুরে একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের অষ্টগ্রাম, মদনপুর, আলিয়ারা ও সাতবাড়িয়ার ইউনিয়নের নাইয়ারা, তপোবনের বিস্তীর্ণ কৃষি জমিতে বন্যা এবং পানির স্রোতে প্রচুর পরিমানো কচুরিপানা জড়ো হয়েছে। সেই কচুরিপানা এখন আবাদি জমিতে জটলা পাকিয়ে থাকায় গলার কাঁটা হয়ে বিধছে কৃষকদের গলায়।
তপোবন গ্রামের কৃষক আফছার উদ্দিন ও অষ্টগ্রামের জসিম উদ্দিন বলেন, এক শতক জমির কচুরিপানা অপসারণ করতে এক হাজার টাকারও বেশি খরচ হয়। তা ছাড়া জমিতে চারা রোপণ, কীটনাশক, সার, বীজ ও আগাছা পরিষ্কার খরচসহ এক শতক জমিনে ধান লাগাতে প্রচুর টাকা ব্যয় হবে, যা উৎপাদিত ধানের আয়-ব্যয়ের হিসেব অনুযায়ী ব্যয়ের অর্ধেক টাকাও আসবে না। তাই অনেক কৃষক জমিনে ধান না লাগিয়ে অনাবাদিই রেখে দিয়েছে। ফলে কৃষকরা শত শত মণ ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হবে।
তারা জানান, সরকারি বরাদ্দের মাধ্যমে কৃষি জমি থেকে কচুরিপানা অপসারণের ব্যবস্থা করলে তাদের কৃষিজমিগুলো আবাদযোগ্য করা সম্ভব হবে। তারা এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সার্বিক সহযোগিতাও কামনা করেছেন।
এছাড়া উপজেলার বিভিন্নস্থানে সেচ সুবিধার অভাবেও অনেক কৃষক জমিনে বোরো ধান আবাদ করতে পারেননি বলে সূত্রে জানা গেছে।
কৃষকরা জানান, বিদ্যুৎ লাইনের জন্য আবেদন করেও সংযোগ না পাওয়ায় সেচ সুবিধার অভাবে তারা জমিনে ধান লাগাতে পারেননি।
উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, কচুরিপানা অপসারণের জন্য আমরা কোনো অর্থ বরাদ্দ পাইনা। তাই এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই।
আনন্দবাজার/শাহী/আলাউদ্দীন