ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সুর সপ্তক’ আন্ডারপাসের নাম পরিবর্তন চায় শিক্ষার্থীরা

২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর এম ই এস বাস স্টপ সংলঘ্ন ওভার ব্রীজ এর ঢালুতে দুই বাসের রেষারেষিতে প্রাণ যায় শহীদ রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী রাজীব-দিয়ার। ঠিক এরপরই শুরু হয়ে যায় দেশের ইতিহাসে সবচেয় বড় ছাত্র আন্দোলন। সেই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির অন্যতম একটি দাবি ছিল শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এবং কলেজের সামনে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের নিরাপদ পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ অথবা বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করা।

সুর সপ্তকের নাম পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রী বরবর নিসআ'র স্মারকলিপি
সুর সপ্তকের নাম পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রী বরবর নিসআ’র স্মারকলিপি

শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত হস্তক্ষেপ ও দিকনির্দেশনায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এবং কলেজের সামনে বিমানবন্দর সড়কে আন্ডারপাস নির্মাণের দায়িত্ব পান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‌২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্ট্রাকশন বিগ্রেড। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও দীর্ঘ প্রায় তিন বছরে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েও উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে বহুলপ্রতিক্ষিত এই আন্ডারপাসটি। তাই নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ) সংগঠনের পক্ষ থেকে এর যুগ্ম-আহব্বায়ক শাহীদুল ইসলাম আপন প্রধানমন্ত্রী বরাবর দ্রুত সময়ের মধ্যে আন্ডারপাসটি খুলে দেয়ার দাবিতে একটি স্মারকলিপি পাঠান। তাছাড়া স্মারকলিপিতে আন্ডারপাসটির নামকরন ‘সুর সপ্তক’ এর বদলে নিহত শিক্ষার্থী রাজীব-দিয়ার নামে নামকরণ আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে ২০১৮ সালের মাঠ পর্যায়ের আন্দোলনকারী প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও নিসআ এর যুগ্ম-আহব্বায়ক আব্দুল্লাহ মেহেদী দীপ্ত মুঠোফোনে জানান, চেতনাবোধের জায়গা থেকে আন্ডারপাসটির নামকরণ রাজীব-দিয়ার নামে করার আহ্বান জানিয়েছি। আমরা মনে করি, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস অক্ষুন্ন রাখার জন্য সরকার ও প্রশাসনকে আরও আন্তরিক হতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৯শে জুলাই রাজধানীর এম ই এস সড়কে দুই বাসের রেষারেষিতে, দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু সহ আহত হয় আরও ১০-১২ জন। এর পর থেকেই ২৯ শে জুন – ৯ আগস্ট সারাদেশে গড়ে ওঠে দেশের ইতিহাসে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় ছাত্র আন্দোলন। শিক্ষার্থীদের ৯ দফার দাবিতে জোড়ালো হয়ে ওঠে সে আন্দোলন। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালেই সড়কে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন