কক্সবাজার পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের সাগর পার নদীর বেড়িবাঁধ কেটে রাতের আঁধারে একটি সেন্ডিকেট মহল পাইপ বসিয়েছে। সরকার ঘোষিত উন্নয়ন এলাকায় অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে একটি অসাধু মহল। কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হওয়ার আশংকা। প্রশাসন মোবাইল কোর্ট করে জরিমানা করলেও থামছে না এই অনিয়ম।
সরকারি চলমান শেখ হাছিনা নৌ ঘাঁটি র উন্নয়ন কর্মকান্ড দ্রুত এগিয়ে চলেছে। নির্মান কাজ শুরু করেছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত বিশেষ অঞ্চল এলাকায় অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করার চেষ্টা করছে একটি অসাধু মহল। ইজারা ছাড়াই বালু উত্তোলন করতে পারলেই ফলে কোটি টাকা রাজস্ব হারাবে সরকার। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো কর্তৃপক্ষ থেকে বৈধ বালুর চড়া দাম নিলেও অল্পদামে এইসব অবৈধ বালু ক্রয় করে ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন।
একদিকে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীর কারনে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো অল্পদামে অবৈধবালু কিনে সরকার থেকে বৈধ বালুর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। অবৈধ বালু উত্তোলন করতে পারলে কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত বেড়িবাঁধ, রাস্তা ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। প্রশাসন মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্ট করে জরিমানা ও উচ্ছেদ করলেও থামছে না এই অনিয়ম। সরকারী উন্নয়ন কর্মকান্ডে অবৈধ বালু উত্তোলন স্থায়ী ভাবে বন্ধ না হওয়া জনমনে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক নদীর ছয় কিলোমিটার দুর থেকে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলনের কথা থাকলেও অনেকেই তাও মানছে না। এমন অনিয়ম চলতে থাকলে একসময় অনিয়মই নিয়মে পরিনত হবে বলে মনে করছে এলাকাবাসী।
আনন্দবাজার/শাহী/শহিদ