ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কোন মুহুর্তে মারাত্মক দূর্ঘটনার আশঙ্কা কুতুবদিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার জনগুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়ক-উপসড়কগুলোর বেশিরভাগ অংশ লবণ পানিতে পিচ্ছিল হয়ে জন-যোগাযোগ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। অপরিকল্পিত লবণ পরিবহন ব্যবস্থা ও বে-আইনিভাবে এলোপাতাড়ি স্তুপাকারে লবণের বস্তা রাখায় সংকীর্ণ হয়ে ব্যস্ততম সড়কগুলো মরণফাঁদে রূপ নিচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত ছোটবড় সড়ক দূ র্ঘটনা ঘটে চলেছে।

মারাত্মক এ সমস্যা প্রতিকারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল। লবণ পরিবহনের এ ব্যবস্থায় দ্বীপের গ্রামীণ সড়ক, প্রধান সড়ক ও ব্রীজ-কালভার্টগুলো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। উপজেলা সমন্বয় সভায় বিষয়টি নিয়ে বার বার আলোচনা হলেও বাস্তবক্ষেত্রে তার স্থায়ী কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা দ্বীপবাসী।

অপরিকল্পিত লবণ পরিবহন ব্যবস্থার কারনে দ্বীপের প্রধান আজম সড়কের উত্তর ধূরুং, আকবরবলী পাড়া, ফুলতলা ও ধূরুং কাঁচা পয়েন্ট, কৈয়ারবিলের ক্রসডেম, বিন্দাপাড়া, দরবার, মিরাখালী, বাঁকখালী, রাজাখালী, ছাদেরঘোনা, বাইঙ্গাকাটা, আকবর শাহ্, মলমচর, কলেজ, সতরুদ্দিন, আমজাখালী, তাবালেরচর ও লেমশীখালী সেন্ট্রাল রোড সহ জন গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কের বেহাল অবস্থা। লবণ ব্যবসায়ীরা নিজস্ব ট্রলি (লবণ পরিবহনের জন্য স্থানীয়ভাবে তৈরি ট্রাক) নিয়ে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুন লবণ পরিবহন করে প্রতিনিয়ত রাস্তা-ঘাট বিনষ্ট করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা আরো জানান প্রভাবশালীরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দ্বীপের প্রধান সড়ক, সংযোগ সড়ক ও ব্রীজ-কালভার্টগুলোকে যথেচ্ছা ব্যবহার করে যান চলাচলের অযোগ্য করে তুলেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণ ধূরুংয়ের দরবার সড়ক দিয়ে স্থানীয়রা ছাড়াও প্রতিদিন দ্বীপের বাইরে থেকে কয়েক হাজার ভক্ত কুতুব শরীফ দরবারে আসা যাওয়া করে। ব্যস্ততম এ সড়কের নয়াপাড়া পয়েন্টে এলোপাতাড়ি বস্তাভর্তি লবণের স্তুপ। লবণাক্ত পানি ও কাদা বের হয়ে রাস্তাজুড়ে যান ও জন চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে যে কোন মুহুর্তে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। মৌসুমজুড়ে স্থানীয় লবণ ব্যবসায়ীরা নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে রাস্তাঘাটে যত্রতত্র স্তুপাকারে লবণের বস্তা রাখে। ফলে রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল হয়ে যান চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। লোনা পানি রাস্তার বিটুমিন নষ্ট করে বিভিন্ন পয়েন্টে ক্ষত তৈরি করায় দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছেনা সড়কগুলো।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী জানান, এ ব্যাপারে স্থানীয় লবণ ব্যবসায়ীদের বারংবার সতর্ক করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অতিরিক্ত লবণ বোঝাই ট্রলিকে জরিমানা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আনন্দবাজার/শাহী/শাহজীদ

সংবাদটি শেয়ার করুন