কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে হাতির পিঠে চড়ে বাল্যবিয়ে করতে এসে পুলিশের ভয়ে কনেকে নিয়ে পালিয়ে গেল বর। ঘটনাটি ঘঠেছে ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি গ্রামে। খড়িবাড়ি বাজারের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় উৎসুক জনতা হাতি দেখে যতটা না বিস্মিত তার চেয়ে বেশি বিস্মিত হয়েছে হাতির পিঠে বরের সাজে থাকা সম্রাটকে দেখে। পরে জানা গেল কনের বয়স ১৬, দশম শ্রেণির ছাত্রী। এলাকায় বাল্য বিয়ে হচ্ছে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার খবরে তাড়াহুড়ো করে বিয়ে সেরে বিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বর ও কনে পক্ষ।
শুক্রবার ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙামোড় ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ী গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে আদুরি আক্তার (১৬)। পাশের নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশি ইউনিয়নের বদ্ধু খানের ছেলে সম্রাট হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে এলে এসময় হাতির পিঠে বরকে দেখে উৎসুক জনতা ভীড় করতে থাকে। পরে স্থানীয়রা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে হাতির পিঠে চরে আসা বর মূলত বাল্যবিয়ে করতে যাচ্ছে। বিষয়টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাবুর নজরে আসলে তিনি মহল্লাদার (গ্রাম পুলিশ) সফিকুলকে পাঠিয়ে বাল্যবিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে চেয়ারম্যান বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু পুলিশ আসার খবরে বর ও কনে পক্ষ বিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তবে তার আগে বিয়ে সম্পন্ন হয় বলে জানায় স্থানীয়রা।
কনের দুলাভাই হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘ফুলবাড়ীর বড়ভিটা কলেজ মাঠে আয়োজিত স্থানীয় একটি সার্কাসের হাতি ১৫ হাজার টাকায় ভাড়া করে তার পিঠে চড়ে বিয়ে করতে আসে সম্রাট। কনে দশম শ্রেণির ছাত্রী। মেয়ের বয়স কম হওয়ায় পুলিশ আসার খবরে সবাই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে কাউকে না পেয়ে ফিরে যায়। এসময় তারা বিয়ে বাড়িতে ফেলে যাওয়া খাবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেন।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) রাজীব কুমার রায় জানান, বাল্য বিয়ে হচ্ছে এমন খবরে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। কিন্তু পুলিশ গিয়ে বিয়ে বাড়িতে কাউকে পায়নি। তবে জানতে পেরেছি পুলিশ যাওয়ার অগেই বিয়ে সম্পন্ন করে উভয় পক্ষ সটকে পড়েছে।
আনন্দবাজার/শাহী/জাহাঙ্গীর