নওগাঁয় ফসলিয় জমির ধান নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, নওগাঁ সদর উপজেলার হাসাইগাড়ি ইউনিয়নের মৃত: বায়তুল্লাহ রহমানের ছেলে আব্দুল জব্বার হাসাইগাড়ি বিলে দীর্ঘ দিন থেকে খাস ৫ বিঘা জমিতে ইরিধান রোপন করে আসছিলেন। দীর্ঘদিনের শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মৃত আজগর হাজির ছেলে মান্নান হোসেন মাইক দিয়ে ঘোষণা দিয়ে মাদ্রাসা ও এতিমখানা জমির নাম করে “৫ বিঘা জমির রোপণকৃত ধান তুলে ফেলে। গত শুক্রবার সকাল ১০টায় আওয়ামীলীগ নেতা মান্নান, মুবা, সাখিদার সহ একই এলাকার মৃত কিছার এর ছেলে গাজি, ইছার ছেলে লোকা, রোমজান আলির ছেলে ইসরাফিল, মৃত শকাত আলির ছেলে মুন্জু, মৃত লাল সরদার এর ছেলে খয়ের আলি সহ আরো অনেকেই হাতে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র সহ জমিতে এসে ধান সব তুলে ফেলে।
এ বিষয়ে আব্দুল জব্বার জানান, আমি এই জমি গত ২০ বছর ধরে চাষাবাদ করে খাচ্ছি, নিজের কিছু জমি সহ খাস জমি ৫বিঘা জমীই আমার বেঁচে থাকার সম্বল, অনেক কষ্ট করেই সংসার চলে। তার উপর ঋণ করে এই ৫বিঘা জমি চাষাবাদ করে ধানের চারা রোপণ করেছিলাম এখন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাদ্রাসা ও এতিমখানার নাম করে আমার লাগানো ধান গুলো নষ্ট করেছে আমি এখন কি করে ঋণ পরিশোধ করবো জানি না, আমার ছেলে মেয়ে নিয়ে কি খাব বুঝতেছিনা, আমাকে পথে বসিয়েছে আমি এর বিচার চাই।
এই বিষয়ে পার্শ্বে জমির মালিক লিটন বলেন, এই বিলে ৮একর জমি খাস আছে। আমরা সবাই কমবেশি ভাগ করে খাস জমি নিয়ে ধান লাগিয়ে খাচ্ছি আমাদের কোন সমাস্যা নেই। তবে আব্দুল জব্বার এর সাথে শত্রুতার জের ধরেই এ সব কাজ করছে তারা।
মান্নান এর সাথে কথা হলে মান্নান জানান, আমি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের নেতা আমি এখানের স্থানীয় একটি স্কুল ও মাদ্রাসার কমিটির সভাপতি আমার মাদ্রাসার উন্নয়ন করার জন্যেই এই জমি আমার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটির সকলেই শুক্রবার সকালে মাইকে ঘোষণা দিয়েই এই জমির ধান তুলেছি। আমরা কারো জমি দখল করিনি আমরা সরকারি জমি দখল নিয়েছি। আমরা কোন অপরাধ করিনি কোন সরকারি জমি (খাস জমি) নিব কমিটি তা বলে দিবে।
জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শফিকুর রহমান মামুন বলেন, প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মানুষের সেবা ও কল্যাণে কাজ করে। যদি কেউ দলের পদ পদবী ব্যবহার করে অন্যায় কিছু করলে দল তার দায় নেবেনা। জননেত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। আমাদের দল ও সরকারের অর্জন গুটি কয়েক আদর্শচ্যুতদের জন্য স্থান হতে পারে না। দলীয় পদ ব্যাবহার করে যারা অন্যায় করতেছে এদের থামানো না গেলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।
নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, এ বিষয়ে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে এর ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
আনন্দবাজার/শাহী/অনিক