টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে কমলা বেগম, আব্দুর রহমান, ময়েন উদ্দিন, সহিতন, সূচী বেগম, খায়রুল, আসাদুল, দুলালসহ ১০জন আহত হয়। কেটে ফেলা হয় সূচী বেগমের হাতের আঙ্গুল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ভূঞাপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী পানির বোতল প্রতীকের আনোয়ার হোসেনের সমর্থিতরা জাল ভোট দেওয়া শুরু করে। পরে বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের জাহিদুল ইসলামের সমর্থকরা প্রতিবাদ করে। এক পর্যায়ে জাহিদুলের এজেন্টসহ সমর্থকদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। এসময় আনোয়ারের সমর্থকদের সঙ্গে জাহিদুল ইসলামের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় জাহিদুলের পক্ষের নারীসহ ১০ জন আহত হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রায় একঘন্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। এসময় প্রিজাইডিং অফিসার শাহীনুল ইসলামের বিরুদ্ধে কক্ষ বন্ধ রেখে সীল মারার অভিযোগ উঠে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ১নং ওয়ার্ডে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার শাহীনুল ইসলাম বলেন, দুই কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় ৩০-৩৫ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে টেপিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক তাহেরুল ইসলাম তোতাকে আটক করে পুলিশ। বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইসরাত এডিন লুনা নিশ্চিত করেছেন।
আনন্দবাজার/শাহী/ইমরান