বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কর্মরত সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৯ দিনব্যাপী ‘ট্রেনিং অন প্যান্ডেমিক পিরিয়ড জার্নালিজম অ্যান্ড ফিউচার অ্যাগ্রিকালচার’ শীর্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারডিসিপ্লিনারি ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির (আইআইএফএস) আয়োজনে শ্রেণীকক্ষে ওই প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।
৯ দিনব্যাপী ওই কর্মশালায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় কর্মরত বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির (বাকৃবিসাস) সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের ২ জন কর্মকর্তাসহ মোট ২০ জন অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৯ দিনব্যাপী দেশের বিভিন্ন খ্যাতিমান সাংবাদিকবৃন্দ ও বিশ্বিবিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. জাকির হোসেন ও ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোকবুল হোসেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আইআইএফএসের পরিচালক অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারি। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন কর্মশালার কোর্স কো-অর্ডিনেটর ও আইআইএফএসের সহযোগী পরিচালক ড. রাখী চক্রবর্ত্তী।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস, বাউরেসের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আজহারুল ঘশ, প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সহিদুজ্জামান, পশুপুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-মামুন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বাকৃবিসাসের কার্যনির্বাহী সদস্য কৃষিবিদ শাহীদুজ্জামান সাগর, সভাপতি কৃষিবিদ নাবিল তাহমিদ, প্রশিক্ষণ কর্মশালার আহ্বায়ক কৃষিবিদ আবুল বাশার মিরাজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, গবেষণালব্ধ জ্ঞান প্রচার করার মাধ্যমে কৃষকেরা আরো এগিয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি গবেষণায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করার সংবাদ সাংবাদিকেরা পত্রিকার মাধ্যমে তুলে ধরবেন। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাংবাদিকেরা ভবিষ্যতে বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবিলা এবং আধুনিক কৃষিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এ.কে.এম জাকির হোসেন বলেন, দেশ বানিজ্যিক কৃষির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বাজার বিপণন প্রক্রিয়া ডিজিটাল হয়েছে। ভবিষ্যত কৃষির জন্য কৃষি উন্নয়নের পাশাপাশি গবেষণালব্ধ সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের বিকল্প নেই। কৃষি সাংবাদিকতার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া দরকার।
আনন্দবাজার/শাহী/বাশার