ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জবথব হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষরা বেশি দূর্ভোগে পড়েছে। ঘন কুযাশা আর শীত উপেক্ষা করে কাজে যেতে দেখা গেছে। অন্যদিকে শীত কুযাশায় ঝিনাইদহের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের যানবাহন চলাচলে চরম শিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে ঢাকাগামী যানবাহনের সমস্যা বেশী হচ্ছে। ফলে ভোর থেকে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে স্থানীয় বা দুরপাল্লার কোন বাস আসতে দেখা যায়নি।
এদিকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা পায় যায়নি। তবে বেলা ১টার পর থেকে একটু একটু করে সূর্যের আলোর দেখা মেলে। অন্যদিকে প্রায় প্রতিদিনই ফেরী ঘাটে ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় দু-পাশে প্রচুর গাড়ী দাড়িয়ে থাকছে। ফলে গন্তব্যে পৌছাতে নির্ধারিত সময় থেকে ২ থেকে ৩ ঘন্টা বেশী সময় লাগছে, কখনও কখনও তারও বেশী। গেল কয়েকদিনে এ সমস্যা আরো বেড়েছে।
ঝিনাইদহ থেকে ঢাকাগামী চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের সুপার ভাইজার মাহাবুব হক জানান, কুয়াশায় খুবই সমস্যা, হেড লাইট জ্বালিয়েও সামনের কিছু দেখা যায় না অনেক সময়। খুব ধীর গতিতে যেমন গাড়ী চালাতে হয় তেমনি আমরা সকলে মিলেই চেষ্টা করি সামনের দিকে নজর রাখতে তবুও দুর্ঘটনার শঙ্কা থেকেই যায়।
পুর্বাশা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার সাজ্জাদ জানান, গেল কয়েক দিন ধরে বেশী সমস্যা হচ্ছে। যেহেতু আমাদের প্রতিটা গাড়ী ঢাকা থেকে ফেরী পার হয়ে এসে আবার ফিরে যায়। এ জন্য ফেরী ঘাটের যানজটের কারনে দির্ঘ সময় পরে কাউন্টারে বাস আসছে। যার কারনে যাত্রীদের সময় মত গন্তব্যে পৌছাতে পারছি না।
আনন্দবাজার/শাহী/বুরহান