ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শার্শায় সরকারি জমি দখলে: বিপাকে পড়েছে হাজারো মানুষ

যশোরের শার্শায় কাছারি-বাড়ির সরকারী ৩৫ শতক জমির উপর দিয়ে হাজারো মানুষের চলাচলের রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে দখলবাজ ও বিপাকে পড়া মানুষের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। সরকারী এ জমি উদ্ধারে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে বার বার মামলার নির্দেশনা দেওয়া হলেও অদৃশ্য কারণে বাস্তবায়ন হয়নি কোন মামলা।

৭২ নং শার্শা মৌজার এস,এ ১নং খতিয়ানের এস,এ ১২৫৫ নং দাগের ৩৫শতক জমি পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের পক্ষে কালেক্টর যশোর এর নামীয় কাছারি-বাড়ি রাস্তার জমি। যার বর্তমান মূল্য দেড়কোটি টাকা। কাছারি-বাড়ির জমি ধানি শ্রেনি দেখিয়ে ৮১ সালে ফজলুর রহমান বন্দোবস্ত নেয়। পরে তা ১৫ বছর মেয়াদী ৬৪ নং কবুলিয়ত সম্পাদন করে দেওয়া হয়। পরে কিছু অসৎ ভ‚মি কর্মকর্তার যোগসাজশে জমিটি নিজেদের নামে রেকর্ড করে সেখানে বসবাস শুরু করে। ১৯৮১ সাল থেকে এলাকায় বসবাসকারী হাজারো মানুষের ব্যবহারের কাছারি-বাড়ির সরকারী জমি রাস্তা ও ড্রেনটি হাল রেকর্ড প্রকাশনার এ পর্যন্ত অনেকে মারধরের শিকার হয়েছে দখলদারের কাছে।

বর্তমানে হুমকির ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পাননা। তবে কাছারি-বাড়ীর সরকারী জমিতে বসবাসরতরা নিজেদের নামে করা জমি টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন মহলে দেনদরবার ও দৌড়ঝাপ শুরু করে। সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারে যারা যারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকেও দেওয়া হচ্ছে প্রাণনাশের হুমকি। দূর্নীতি দমন কমিশন থেকে ডিসি (যশোর) বরাবর কাছারি-বাড়ির সরকারী জমি নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দেওয়া ও বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ এবং জেলা প্রশাসনের নির্দেশনার পরও মামলা না হওয়ায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ জনগণের মধ্যে।

শার্শা সদর ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারী নজরুল ইসলাম ৩৫ শতক জমির খতিয়ান ও কবুলিয়ত ভূঁয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে আমরা এলএসটি মামলা দায়ের করেছি।

শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রাসনা শারমিন মিথি মুঠোফোনে বলেন, মামলার কাজ চলতেছে আরকি। মামলাতো করবে হচ্ছে ডিসি সাহেব। মামলাতো আর আমরা করবো না। চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি আরতো কিছুই করার নাই।

এলাকাবাসী ও সচেতন মহল কাছারি-বাড়ির সরকারী জায়গা ও নিশানা যাহাতে ব্যক্তি মালিকানায় বেদখল না হয় তার জন্য জরুরী ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক ও ভ‚মি মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আনন্দবাজার/শাহী/রাসেল

সংবাদটি শেয়ার করুন