রক্তদান একটি মানবিক গুণ। স্বেচ্ছায় রক্তদান অনেক মানুষের জীবন বাঁচায়। কোনো মানুষের পক্ষে এ দানের প্রতিদান দেওয়া সম্ভব নয়। দেশে প্রয়োজনের তুলনায় রক্তদাতার সংখ্যা অনেক কম। এজন্য সচেতনতা জরুরী।
আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) গাজীপুরের কাপাসিয়ার ৫নং ঘাগটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। এ সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীতে কমপক্ষে ৫০ জন স্বেচ্ছায় তাদের রক্তদান করেছেন।
স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর উদ্ভোধন করেন ৫নং ঘাগটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহীনুর আলম সেলিম। এই রক্তদান কর্মসূচী উদ্ভোধনের পূর্বে চেয়ারম্যান শাহীনুর আলম সেলিম রক্তদাতাদের সামাজিক শক্তি উল্লেখ করে বলেন,মুমূর্ষ রোগীর জীবন রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো রক্তদান। স্বেচ্ছা রক্তদাতা দেশের জন্য গর্বের।তিনি আরো বলেন, যারা বারবার রক্তদানের মতো মহৎ কাজ করেন,প্রকৃত অর্থে তারা মহা-মানব।
স্বেচ্ছা রক্তদান কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য নারগিস হায়দার, ঘাগটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তারেক হোসেন রিপন, ঘাগটিয়া চালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইউসুফ খাঁন, জাতীয় মহিলা সংস্থার মনোহরদী উপজেলা কো-অর্ডিনেটর আসাদুজ্জামান সরকার, কাপাসিয়া উপজেলা কোয়ান্টামের নির্বাহী সদস্য মোঃ আমিনুল হক, রাজীব কুমার বর্মণসহ প্রমুখ।
অন্যদিকে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের কাপাসিয়া উপজেলার আহবায়ক এডভোকেট আবু সায়েম “দৈনিক আনন্দবাজার”কে বলেন,সারা বাংলাদেশে মধ্যে মোট চাহিদার ৫ ভাগের ১ ভাগ নিরাপদ ও সুস্থ রক্ত সরবরাহ করে রক্তের ঘাটতি পূরণ করে। বিপুল রক্ত ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে কোয়ান্টাম ১৯৯৬ সাল থেকে সাথারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
তিনি আরো বলেন, গত ২০১৮ সালে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন মোট চাহিদার ১ লাখ ১০ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে। এদিকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন স্ব-উদ্যোগ,স্-াপরিকল্পনা ও স্ব-অর্থায়নে পরিচালিত। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সব-সময়ই আর্ত-মানবতার সেবায় নিয়োজিত ।কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রম সব সময়ই অব্যাহত থাকবে।
এদিকে স্বেচ্ছায় রক্তদান করা এক কলেজ পড়–য়া তরুণ সজীব আহম্মেদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সে“ দৈনিক আনন্দবাজার”কে জানায়, আমি আমার রক্ত দিতে পেরে নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করছি। কারণ , হয়তোবা আমার রক্তে কোন মুমূর্ষ ব্যক্তির জীবন বাঁচতে পারে।
আনন্দবাজার/আবুল হোসেন সবুজ