চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ। এ প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও অন্তর্ভুক্ত করতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার। আজ মঙ্গলবার চীনের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে কি প্রক্রিয়ায় প্রত্যাবাসন শুরু করা যাবে, সেটি নিয়ে একমত হতে পারেনি দুই দেশ।
এর আগে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হলেও এই প্রথম সচিব পর্যায়ের বৈঠক হল। এর সঙ্গে বাড়তি যোগ হয়েছে এবার চীনের মধ্যস্থতা।
এর আগে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরুর ৩ মাসের মাথায় নাইপিদোতে দুই দেশের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল, তাতেও পরোক্ষ মধ্যস্থতা করে চীন। এরপর ২ দফা তারিখ ঘোষণা করেও শুরু করা যায়নি প্রত্যাবাসন। প্রতিবারেই নানা টালবাহানা করা মিয়ানমার এবার চীনের কারণে ছিল ইতিবাচক।
আলোচনার মূলে ছিল, কবে নাগাদ শুরু করা যাবে প্রত্যাবাসন। বাংলাদেশ প্রথম কোয়ার্টারে প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তাব দিলেও মিয়ানমারে নতুন সরকার গঠন না হওয়ায় বছরের দ্বিতীয় ভাগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় মিয়ানমার।
তবে জট বাধে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কীভাবে হবে, সেটা নিয়ে। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সাড়ে ৮ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা দিলেও মিয়ানমার চায় এখন পর্যন্ত যাচাই করা ৪৬ হাজার রোহিঙ্গাকে বিচ্ছিন্নভাবে ফেরত নিতে। তবে বাংলাদেশ চায় একটি গ্রাম কিংবা এলাকাকে একসাথে পাঠাতে। এখন পর্যন্ত বিষয়টির সুরাহা হয়নি।
প্রথম দফায় যাদের ফেরত নেওয়া হবে, তাদের বিনামূল্যে করোনার টিকা দেওয়ার দায়িত্ব চীন নেবে বলে জানানো হয় বৈঠকে।
যারা ফেরত যাবে, তাদের জন্য পরিবেশ তৈরিতে রোহিঙ্গাদের একটি দলকে সরাসরি রাখাইন পরিদর্শনে পাঠানোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর আগে এমন সফর হলেও তাদের সন্তুষ্ট করতে রোহিঙ্গাদের পছন্দমতো ব্যক্তির সাথে সাক্ষাতের সুযোগ দেয়া হয়নি। এবার সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ক্যাম্পে যারা আছে প্রত্যাবাসন চায় না, তাদের সাথেও আলোচনা করা হবে বলে জানানো হয়।
আনন্দবাজার/শহক