পরিচ্ছন্ন কুমিল্লা গড়ার লক্ষ্যে ফুটপাত ও ফুটপাতের উপরে টিন দিয়ে দখল করা যায়গা দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান আব্যাহত রেখেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা। প্রতিদিনই নগরীর কোথাও না কোথাও অভিযান করছে। কে কত বড় প্রভাবশালী সেটা দেখার বিষয় নয়, সরকারী জায়গায় অবৈধ স্থাপনা যারাই নির্মান করছে, তাদের সেই অবৈধ স্থাপনাই ধ্বংস করা হচ্ছে। অসহায় হকারদের জীবনমান দেখার পাশাপাশি রাস্তার জনগনের চলাচল নির্বিগ্ন করতে অভিযান করে দখলমুক্ত করা হচ্ছে ফুটপাত।
অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে এমনিতেই নাকাল নগরবাসী, তার উপর ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় চলাচলে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারন জনগনকে, তাই জনগনের চলাচল সুবিধার্থে এ উচ্ছেদ অভিযান। ইতিমধ্যেই এ ধরণের অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে নগরবাসী। যাদের উপর দায়িত্ব ছিল পরিচ্ছন্ন নগরায়নের সেই, সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্মিত কুমিল্লা নিউমার্কেট এর সামনের পার্কিং এলাকা উচ্ছেদ করে সিটি কর্পোরেশনের জনবল ও বেকু দিয়ে।
গতকাল সকাল থেকেই নগরীর ব্যাস্ততম এলাকা কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়া হতে কান্দিরপাড় পর্যন্ত প্রায় ১কিলোমিটার এলাকা ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেছে জেলা আনসার বাহিনী ও বিদ্যুৎ বিভাগ।
পথচারী আলমগীর হোসেন জানান,অাগে একদিন অভিযান করে গেলে আর কোন খবর রাখা হত না, এখন প্রতিদিনই অভিযান অব্যাহত থাকায়, জনমনে ধারনা জম্মেছে,যে ইচ্ছে করলেই কেউ ম্যাজিষ্ট্রেট যাবার পরই আবার দখল করতে পারবে না। কান্দিরপাড় লিবার্টি মোড়ে একেবারে লোহার রড দিয়ে ফুটপাতে স্থায়ী দোকান চালাচ্ছিল। এখন সবগুলোই ভেঙে ফেলায় জনগন চলাচলে অনেক সুবিধা ভোগ করবে।
এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আবু সাঈদ। তিনি আরো জানান, জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর স্যারের নির্দেশে প্রতিদিনই সচেতনতার পাশাপাশি উচ্ছেদ করে ইতিমধ্যেই শহরের অনেকাংশই ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। সকলের সহযোগিতা পেলে ফুটপাত দখলমুক্ত ও ক্লিন কুমিল্লা গড়তে সক্ষম হব। এ জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
আনন্দবাজার/শাহী/বাশার