কুমিল্লার লাকসামের নলুয়া খাল খননে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে দুই হাজার একর জমি। জমি গুলোর অবস্থান লাকসামের উত্তরদা ইউনিয়নে। ওই ইউনিয়নের চন্দনা, রামপুর, মনপাল, রাজাপুর ও তপইয়া গ্রামের কৃষকের জমি এগুলো।
কৃষি বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এই অঞ্চলের ৫০ ভাগ খাল দখল হয়ে গেছে। কোথাও খাল দখল করে মাছের ঘের, কোথাও বাড়ি, কোথাও দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় খাল ভরাট করে জমির সাথে মিশিয়ে ফেলা হয়েছে। লাকসামের উত্তরদা ইউনিয়নের নলুয়ার খালটিও বিভিন্ন স্থানে দখল হয়ে গেছে। এতে তার দুই পাশের গ্রামের কৃষকরা বেকায়দায় পড়েন। সহস্রাধিক একর জমি জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছিলো। এই খালটির তপৈয়ার দিকে সংযোগ খাল বিভিন্ন স্থানে দখল হয়ে গেছে। মনপাল দিঘির উত্তরপাড়ের খাল পুরো ভরাট হয়ে গেছে। দক্ষিণ দিকের খালও দখল হয়ে গেছে।
মনপাল গ্রামের কৃষক সহিদ উল্লাহ জানান, ‘অনেকে খাল ভরাট করায় জমির পানি সরছে না। আমন ফসল হয়না, এখন বোরো লাগানোর সময়ও পানি সরছে না। তবে, খাল খননে পানি সরে যাবে। কৃষকরা উপকৃত হবে।’
উত্তরদা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিপন চন্দ্র দত্ত বলেন, ‘নুলুয়ার খাল ভরাটের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছিলো। এতে এ এলাকার জমি গুলোর ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তবে খাল খননে এবার কৃষকরা লাভবান হবে। এই খালটির তপৈয়ার দিকে সংযোগ খাল,মনপাল দিঘির উত্তরপাড়ের খাল এবং দক্ষিণ দিকের খালও দখল মুক্ত করা প্রযোজন।’
’বিএডিসি কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী (সেচ) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘লাকসামের বিভিন্ন খাল পরিদর্শন করেছি। বিভিন্ন স্থানে খাল ভরাট হয়ে গেছে। নলুয়ার খালটি খনন শুরু হয়েছে। আশা করছি কৃষকরা উপকৃত হবেন।’
আনন্দবাজার/শাহী/আলাউদ্দিন