সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেমিকার বাসায় গিয়ে অন্তর (২০) নামের এক প্রেমিক ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাতে শহরের কাউতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রেমিকা জিয়াসমিনকে (২৪) জিজ্ঞাসাবাদের পুলিশ আটক করেছে। অন্তর ওই এলাকার কামাল চৌধুরীর ছেলে। আটক জিয়াসমিন সিলেট জেলার সদর উপজেলায় মৃত শুক্কুর মিয়ার মেয়ে। সে শহরের প্রথমে ভাদুঘর পরে কলেজপাড়া ও কাউতলী এলাকায় বসবাস করে আসছিল।
হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১ বছর আগে জিয়াসমিনের সাথে তার আগের স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরে অন্তর চৌধুরীর সঙ্গে জিয়াসমিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আগের স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ির বিষয়টি প্রেমিক-প্রেমিকা উভয়ের পরিবারেরই জানা ছিল। অন্তর চৌধুরী প্রায়ই জিয়াসমিনের বাসায় আসা-যাওয়া করতো।
প্রেমিকা জিয়াসমিনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৬মাস আগে অন্তরের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়েছিল। ২মাস যাবত জিয়াসমিনের বাসায় থাকতো অন্তর। এভাবে আসা যাওয়ার কারণে উভয়ের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যার দুইমাসের মধ্যে অন্ত:সত্তা হয় জিয়াসমিন। এবিষয়টি এলাকার অনেকে এমনকি অন্তরের মা’ও জানতেন। মায়ের সাথে অভিমান করে জিয়াসমিনের কাছে চলে আসে অন্তর। টাকার জন্য কক্সবাজার যেতে পারবে না বলে নিজের হাত ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলে অন্তর। পরে জিয়াসমিন এর কাছে টাকা চাইলে জিয়াসমিন টাকা আনার জন্য বাসা থেকে বের হয় দুপুরের দিকে। টাকা নিয়ে বিকেলের দিকে বাসায় ফিরে দেখে অন্তর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুর রহিম জানান, আত্মহত্যা মনে হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না। আমরা প্রেমিকা জিয়াসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/শাহী/নয়ন