গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার পাইনশাইল ও ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকায় অবৈধ এগারোটি (১১) ইটভাটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই অবৈধ ইটভাটা বিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়। গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে এই অবৈধ ইটভাটা বন্ধ অভিযানে নের্তৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ।
এদিকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া অবৈধ ইটভাটাগুলো হলো-আব্দুল আজিজের মেসার্স কাঁচারস ব্রিকস (কে আর বি), জহিরুল হক পলাশের মেসার্স স্টার ব্রিকস্, শরিফুল আলমের ডগরী ব্রিকস (এম এ কে-২), আব্দুর রহমান সরকারের মেসার্স আদিব ব্রিকস (এ আর সি), মোঃ বশির আহমেদের বাংলাদেশ ন্যাশনাল ব্রিকস (বি এন বি), সোহান আহমেদ রিপনের মেসার্স হাজী ব্রিকস (এম এইচ বি), নাসিম শিকদারের মেসার্স সোহাগ-বাপ্পী ব্রিকস (এস বি সি) এবং মোঃ রফিকুল ইসলামের এন আর ব্রিকস (এন আর বি)। এছাড়াও ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকার আমিন উদ্দিনের সুইটি ব্রিকস (এস আর বি), আয়নাল হকের আখিঁ ব্রিকস (এ আর বি) এবং ফজলুল হক মুসুল্লীর ন্যাশনাল ব্রিকস।
এসময় ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় ১১টি অবৈধ ইটভাটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয় এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে এবং প্রত্যেক ইটভাটা মালিককে ৬ লাখ টাকা করে মোট ৬৬ লাখ টাকা জরিমানা পূর্বক আদায় করা হয়।
অবৈধ ইটভাটা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ অভিযানের সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুস সালাম সরকার, সহকারী পরিচালক ও রিসার্চ অফিসার মোঃ আশরাফ উদ্দিন, পরিদর্শক মমিন ভূঁইয়া। গাজীপুর র্যাব-১,জেলা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুস সালাম সরকার জানান, গাজীপুরে মাসব্যাপী ইটভাটা বিরোধী অভিযানে ১৯ টি ইটভাটা ভেঙ্গে দেওয়া হয় এবং সর্বমোট ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
তিনি আরো বলেন, পরিবেশ দূষণ রোধে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ ও বন্ধে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আনন্দবাজার/শাহী/সবুজ