দেশের বৃহত্তম বীজ কোম্পানি, লাল তীর সীড লিমিটেড গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জাতের ফসল উদ্ভাবন ও উন্নয়নের লক্ষ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত করেছে।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকার হোটেল ওয়েস্টিনে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কৃষি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে উক্ত সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
সম্পৃক্ত উভয় পক্ষই আশা প্রকাশ করেছেন যে, এই সহযোগিতার মাধ্যমে তাঁরা কৃষকদের কল্যাণার্থে বাংলাদেশে বিভিন্ন ফসলের উচ্চ ফলনশীল, স্বল্প জীবনকালসম্পন্ন, বিভিন্ন চাপ/প্রতিকূলতা সহিষ্ণু ও রোগ-জীবানু প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হবেন।
নোবিপ্রবি’র কৃষি বিভাগ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘লাল তীর সীডের সঙ্গে এ চুক্তিতে নোবিপ্রবির পক্ষে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম।
এতে লাল তীর সীডেরে’র পক্ষে স্বাক্ষর করেন ওই কোম্পানীর চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
এসময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, কৃষি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. গাজী মোঃ মহসীন, ড. আতিকুর রহমান ভুঞাসহ লাল তীর সীডের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এবিষয়ে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, নতুন জাতের ফসল উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের লক্ষ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা লাল তীর সীডের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে যাবে। এছাড়া বেশী উৎপাদনের জন্য পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে গবেষণা করার সুযোগ পাবে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. দিদার-উল-আলম বলেন, আমরা যে চুক্তি স্বাক্ষরিত করেছি এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের থিসিসের শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই কাজে আসবে। বাংলাদেশে জনসংখ্যার সংখ্যা বাড়লেও জমির পরিমাণ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে অল্প জায়গায় কীভাবে বেশী উৎপাদন করা সম্ভব হবে সেই বিষয়ে গবেষণা করে যাবে। হেলদি বীজের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে।
এছাড়া এই চুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা দেশ জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করছেন তিনি।
আনন্দবাজার/শাহী/সুমন