পার্বত্যাঞ্চলে আখ চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে চাষিরা। সেই সাথে সচল হয়েছে অর্থনৈতিক চাকা। তাই বর্তমানে আখ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। ইতমধ্যে নিজ উদ্যোগে আখের বাগান করেছে অনেক জুম চাষি।
যদিও বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে দেশের ৬টি সুগার মিল। তবুও তেমন কোন প্রভাব পরেনি পার্বত্যাঞ্চলের আখ চাষিদের মধ্যে। রাঙামাটি সুগারক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউট জানায়, আখে কম খরচ এবং লাভ বেশি।
তাই চাহিদা বেশি থাকায় শুধু জুস তৈরি করে অনেকে প্রতিদিন আয় করছে হাজার টাকা। ফলে কৃষকরা সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে আখ চাশে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে এ পার্বত্যাঞ্চলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিন পার্বত্য জেলা অর্থাৎ রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে একটা সময় যেসকল জমিতে তামাক চাষ হতো, বর্তমানে সেখানে এখন চাষিরা আখ চাষ করছে।
বর্তমানে তিন পার্বত্য জেলায় এক হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা নিজ উদ্যোগে আখের বাগান করেছে। এছাড়া রাঙামাটির ৬টি উপজেলা রাঙামাটি সদর, নানিয়ারচর, কাপ্তাই, কাউখালী, জুরাছড়ি ও বাঘাইছড়িতে রয়েছে বেশ কয়েকটি আখের বাগান।
রাঙামাটি ইক্ষু চাষি সন্ধ্যামনি চাকমা বলেন, আখ চাশে বেশ লাভবান হচ্ছি। রাঙামাটি সুগারক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে দেওয়া আখ মেশিনে জুস তৈরি করে প্রায় প্রতিদিন ৭-১০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। এছাড়া এসকল আখের গুড়ের চাহিদাও অনেক বেশি। তাই গুড় এবং জুস তৈরি করে আখ ব্যবসা বেপক জমে উঠেছে তার।
রাঙামাটি সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ধনেশ্বের তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, তিন পার্বত্য জেলা অর্থাৎ রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ৪৫টি ইক্ষু প্রদর্শনি ও ৯টি রেভিনিউ রয়েছে । এর মধ্যে রাঙামাটি-১২টি, খাগড়াছড়ি-১৩টি ও বান্দরবানে ২০টি প্রদর্শনি রয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি। তবে পরিকল্পনা রয়েছে। বরাদ্দ পেলেই আখের নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাবে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে