করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের বিমানবন্দরগুলোকে স্ক্রিনিং এর আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া আক্রান্তদের কড়া আইসোলেশনের আওতায় আনারও তাগিদ দিয়েছেন তারা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, এখান থেকে উত্তরণের পথ হতে পারে, আক্রান্ত দেশটি থেকে মানুষকে আসতে দেওয়া যাবে না। তবে আসা যদি জরুরি হয়, তাহলে কঠোর কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করতে হবে। এর থেকে কেউ যেন বাদ না যায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
লন্ডনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জাকের উল্লাহ বলেন, সোয়াব টেস্ট করার ক্ষেত্রে দেখতে হবে যে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আসছে কি না। তবে যে ভ্যাকসিন আসছে, সেটা এই নতুন ভাইরাসকে কাবু করতে পারবে বলে আশা করছি।
এছাড়া পিসিআর পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের সবগুলো প্রোটিন টেস্ট করার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যেহেতু পরিবর্তিত এই ভাইরাস শিশুদের বেশি আক্রান্ত করছে তাই আপাতত স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্তেই সরকারকে অটল থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।
যুক্তরাজ্যে সন্ধান পাওয়া করোনার নতুন এই প্রকৃতির সংক্রমণের মাত্রা প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি। তবে এই ভাইরাসের প্রাণঘাতী হওয়ার আশঙ্কা তুলনামূলক কম। যুক্তরাজ্যে প্রথম শনাক্ত হলেও ইতোমধ্যে ইউরোপসহ বেশ কিছু দেশে মিলেছে নতুন এই ধরনের অস্তিত্ব।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস