এনজিও ও নাগরিক সংগঠনগুলোকে এক প্ল্যাটফর্মে আনতে গঠন করা হয়েছে সিভিল সোসাইটি অরগানাইজেশন (সিএসও) অ্যালায়েন্স।
জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার সকালে এক ওয়েবিনারে নতুন এই জোট গঠনের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদাকে চৌধুরী এই জোটের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন এবং সচিবালয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ব্র্যাক।
এই বিশয়ে রাশেদা কে চৌধুরী জানান, এ জোটের উদ্দেশ্য এনজিও, তাদের নেটওয়ার্ক এবং সিএসওর মধ্যে আরও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা। সেই সাথে উন্নয়নমূলক কাজের প্রভাব মূল্যায়ন, নানা বৈচিত্র্যময় বিষয়ে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্পর্কে মতবিনিময় অর্থনীতিগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করা।
ইতমদ্ধে নতুন এই জোটের ৪০০ এনজিও যুক্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ ওয়েবিনারে জানান, সরকারের পাশাপাশি আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য যে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করছি, সে অবদানগুলো সামনে আসা দরকার। তাই সামাজিক বিভিন্ন সংগঠন ও আন্দোলনগুলোকে এক প্ল্যাটফর্মে আনতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ওয়েবিনার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, বিশেষ অতিথি ছিলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক রাশেদুল ইসলাম এবং অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।
এই ব্যাপারে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, আমাদের এখানে নানামুখী সংগঠন আছে। তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে আইনি কাঠামো সকল কিছুই ভিন্ন। তবে সরকারি নিয়ন্ত্রণের ভেতরে থেকে তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু সরকারকে এদের কাজের স্বাধীনতা দিতে হবে। তবে সরকারের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এদের পূর্ণ সম্ভাবনা যেন বিঘ্নিত না হয়, সেদিকে নজরদারি রাখতে হবে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে