ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বারি’তে ফুলের উৎপাদন কলাকৌশল ও ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রশিক্ষণ

বারি’তে ফুলের উৎপাদন কলাকৌশল ও ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রশিক্ষণ

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর উদ্যানতত্ত গবেষণা কেন্দ্রের ফুল বিভাগের উদ্যোগে উদ্যানতত্ত গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী ‘‘মানসম্পন্ন অর্কিড, ক্যাকটাস-সাকুলেন্ট ও বাল্ব-করম জাতীয় ফুলের আধুনিক উৎপাদন কলাকৌশল এবং সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা’’ শীর্ষক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন কেন্দ্র, উপকেন্দ্র ও বিভাগের বৈজ্ঞানিক সহকারী ও কৃষক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি “বাংলাদেশে অর্কিড, ক্যাকটাস-সাকুলেন্ট ও বাল্ব-করম জাতীয় ফুলের জাত উন্নয়ন, উৎপাদন, সংগ্রহোত্তর ও মূল্য সংযোজন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বিস্তার কর্মসূচী” প্রকল্পের অর্থায়নে আয়োজন করা হয়।

সকালে বারি’র পরিচালক (উদ্যানতত্ত গবেষণা কেন্দ্র) ড. আবেদা খাতুন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন। ফুল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কর্মসূচী পরিচালক ড. কবিতা আনজু-মান-আরা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) ড. এস এম শরিফুজ্জামান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ফুল বিভাগসহ ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারি’র পরিচালক (উদ্যানতত্ত গবেষণা কেন্দ্র) ড. আবেদা খাতুন বলেন, ফুলকে এক সময় ফসল হিসেবে গণ্য করা হতো না। শুধু সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু আজ ফুল একটি অর্থকরী ফসল। ফুল চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় মাঠ পর্যায়ে কৃষকের কাছে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফুল সৌন্দর্য ও পবিত্রতার প্রতীক শুধু তাই নয় এটি এখন একটি জীবিকা নির্বাহের উপায়ও বটে। ফুল চাষ করে এখন অনেক চাষী লাভবান হচ্ছেন। ফুলকে বলা হয় হাই ভ্যালু ক্রপ। আমি আশা করি আজকের এই কর্মশালার মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা উপকৃত হবেন এবং দেশের ফুল চাষকে আরও বেগবান করবেন।

আনন্দবাজার/শাহী/সবুজ

সংবাদটি শেয়ার করুন