২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু চালু হবে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ আয়োজিত করোনা মোকাবিলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজের ব্যাপারে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
তিনি জানান, দ্য পদ্মা ব্রিজ ইউ নাউ ট্রু। নাও ইট ইজ ফিজিক্যালি কমপ্লিট। আই থিঙ্ক বাই জুন ২০২২ উই ইউল ওপেন দ্য পদ্মা ব্রিজ। আমি ৮ বছর সেতু বিভাগের সচিব ছিলাম এবং বর্তমানে আমি এখনও এটিকে দেখাশোনা করি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। কিনোট পেপার উপস্থাপন করেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার। প্যানেল আলোচকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সিনিয়র গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ড. সাজ্জাদ জহির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফিরদৌসি নাহার, ইউরোপ ইউনিয়নের হেড অব ডেলকেশন এবং রাষ্ট্রদূত রেনজে তেরিঙ্ক।
গেল দুই মাসে সেতুতে ৮ টি স্প্যান বসিয়ে রেকর্ড গড়েছেন দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা। এ মাসেও দুটি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে বিজয়ের মাসে স্প্যান বসানোর কাজটি সম্পন্ন করা হলো। সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর ৪১তম স্প্যান ‘টু-এফ’ সফলভাবে স্থাপন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক (মূল সেতু) দেওয়ান আবদুল কাদের।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ফিরে পুনরায় পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। প্রকল্পে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ সহায়তার প্রস্তাব নিয়ে আসে বিশ্বব্যাংক। কিন্তু মতের মিল না হওয়ায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের বাস্তবায়ন বিলম্বিত হতে থাকে। পরে ২০১০ সালের জুলাইয়ে সেতু নির্মাণের জন্য প্রাক-যোগ্যতা দরপত্র মূল্যায়ন করে পাঁচ দরদাতাকে বাছাই করে তা বিশ্বব্যাংকের অনাপত্তির জন্য পাঠানো হলেও সংস্থাটি তা ঝুলিয়ে রাখে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে
