২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশের প্রথম ভূস্থির যোগাযোগ ও সম্প্রচার উপগ্রহ স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ মহাকাশে যাত্রা করলেও বাণিজ্যিক সেবা দেওয়া শুরু করে ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর। প্রথমে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন্স স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল) পরীক্ষামূলকভাবে ছয়টি টেলিভিশন চ্যানেলসহ আরও তিন প্রতিষ্ঠানকে সেবা দেয়।
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বিসিএসসিএল সব মিলে সাত প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্যিকভাবে সেবা দিতে শুরু করে। এসব থেকে গত অর্থবছরের জুন পর্যন্ত মোট আয় হয়েছে দুই কোটি ৫৯ লাখ ৩৫ হাজার ৭৩২ টাকা।
এ স্যাটেলাইট থেকে এখন দেশের সব টেলিভিশন সেবা গ্রহণ করছে। একটি মোবাইল ফােন অপারেটরসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট থেকে বাণিজ্যক সেবা নিচ্ছে। এ স্যাটেলাইট থেকে আরও বাণিজ্যক সেবা দেওয়ার সুযোগ আছে বলেও জানায় স্যাটেলাইট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কমিউনিকেশন্স স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল)।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বার্ষিক প্রতিবেদনে বিসিএসসিএল বলেছে, আগের অর্থবছরে সব মিলে তারা মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকসহ দুই ডিটিএইচ কোম্পানি আকাশ ও বায়ারের কাছে স্যাটেলাইটের ব্যান্ডউইথ এবং ট্রান্সপন্ডার ভাড়া দিয়ে আয় করেছেন। তা ছাড়া এডিএন ও স্কয়ারসহ আরও দুটি কোম্পানিও তাদের কাছ থেকে সেবা নিয়েছে।
স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন খাতে বিসিএসসিএল’র খরচ হয়েছে ১৭ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এরপর অক্টোবরে এসে সব টেলিভিশন একবারে বাণিজ্যিকভাবে সেবা গ্রহণ করতে শুরু করেছে। আপাতত এগুলোর বাইরে স্যাটেলাইটের আয়ের আর কোনো বন্দোবস্ত হয়নি। তবে সামনের বছর থেকে সরকারি কোম্পানিটি লাভজনক একটি কোম্পানিকে পরিণিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই মন্ত্রিসভার অনুমোদনক্রমে কোম্পানি হিসেবে বিসিএসসিএল গঠিত হয় এবং পরের মাসে সেটি জয়েন্ট স্টকে নিবন্ধিত হয়।
আনন্দবাজার/ইউএসএস