ঢাকা | শুক্রবার
১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভিডিও মামলা বন্ধ, শৃঙ্খলা হারাচ্ছে সড়ক

ভিডিও মামলা বন্ধ, শৃঙ্খলা হারাচ্ছে সড়ক

সড়কে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ ভিডিও মামলা কার্যক্রম চালু করেছিল। এই কার্যক্রম চালু হওয়ার পর থেকে শহরে যেখানে সেখানে গাড়ী পার্ক করে রাখা চালক ও মালিকেরা নড়েচড়ে বসেছিলেন।

এখন পুলিশের সেই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে আবার  যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং চলছে। উল্টোপথেও চলাচল করছে যানবাহন। এতে যানজট লেগে আগের মতোই শৃঙ্খলা হারাচ্ছে সড়ক।

এই বিষয়ে ডিএমপির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কভিড ১৯ এর কারণে গত এপ্রিল থেকে এই ধরনের মামলার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে শিগগিরেই তা চালু করা হবে। কিন্তু কবে চালু হবে তা পরিস্কার করে বলতে পারেননি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বলছে, ২০১৬ সালের জুন মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিডিও মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। এই মামলার অংশ হিসেবে অবৈধ পার্কিং, উল্টোপথে চলা ও ট্রাফিক আইন না মানলে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্টরা যানবাহনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে ভিডিও করতেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে মামলা করতে না পারলেও জরিমানার চিঠি মালিকের ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া হতো। বিআরটিএর সার্ভারেও মামলার খবর যেত। জারিমানা অনাদায়ে ফিটনেস ছাড়পত্র দেয়া বন্ধ ছিল। এই ধরনের কার্যক্রমকে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ‘ভিডিও মামলা’ বলে। এই মামলার কার্যক্রম ডিএমপির চারটি ট্রাফিক বিভাগে (ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম) ছিল। তবে করোনার এই ভয়াবহ সময়ে আদি পদ্ধতিতে মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

পল্টন, গুলিস্তান,মতিঝিল, আগারগাঁও, তেজগাঁও, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, মহাখালী, মিরপুর রোড, গ্রিন রোড, কারওয়ান বাজার, বেইলি রোড, নিউ মার্কেট এলাকায় অসংখ্য গাড়ি সড়কে যত্রতত্র পার্কিং করে রাখতে দেখা গেছে। এতে এসব এলাকার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোনো ভিডিও মামলা করতে দেখা যায়নি।

আদি পদ্ধতিতে মামলা করতে গেলে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়। প্রায়ই অনেক বড় বড় পদের লোকজনের গাড়ি অবৈধ পার্কিংয়ে থাকে বা উল্টোপথে চলে। সার্জেন্টরা অনেক সময় কিছু বলতে পারেন না। ভিডিও ব্যবস্থার ফলে তাদের কাছে সরাসরি চিঠি চলে যেত।তাই আবার এই পদ্ধতি চালু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের জানাবেন বলে জানান সার্জেন্ট ইকবাল হোসেন।

ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ দক্ষিণ সূত্র জানায়, আগে নগরে প্রতি মাসে গড়ে ২৫০টি ‘ভিডিও মামলা’ হতো। তখন এই মামলার কারণে নাগরিকদের অনেক সাড়া পাওয়া গিয়েছিল। তবে এই মামলার প্রয়োগ বেশি ছিল ট্রাফিক পশ্চিম ও উত্তরে। পূর্ব ও দক্ষিণে তুলনামূলক কম। এই কাজের জন্য নির্দিষ্ট সার্জেন্টরা নিয়মিত পরিদর্শনে থাকতেন। এই কাজের জন্য তাদের ভিডিও বা ছবি তোলার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ এবং আলাদা ক্যামেরা সরবরাহ করা হয়েছিল।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের (দক্ষিণ) যুগ্ম-কমিশনার বাসু দেব বণিক জানান, ভিডিও মামলার কারণে নগরে যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং অনেকাংশেই কমে গিয়েছিল।  কার্যক্রমটি অঘোষিতভাবে বন্ধ রয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব তা পুনরায় তা চালু করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

আনন্দবাজার/এহসান

সংবাদটি শেয়ার করুন