ঢাকা | সোমবার
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র পদে নৌকা চায় যুুুুবলীগ আহ্বায়ক

নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে মেয়র পদে প্রার্থী হতে চায় সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শিল্পপতি দিলনেওয়াজ খান। শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় একান্ত সাক্ষাতে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, আগামী ১৬ জানুয়ারী অনুুষ্ঠিতব্য সৈয়দপুুর পৌর পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনাও হয়েছে। স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী, শ্রমজীবী, ক্রীড়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজ, উর্দুভাষী কমিউনিটির মুরুব্বিদের সাথে মতবিনিময় করা হয়েেছে।

বিশেষ করে উপজেেলা ও পৌর যুুবলীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটারদেের উৎসাহ এবং মতামতের ভিত্তিতে অনুুুুপ্রানিত হয়েছি। কারণ তাদের সকলেরই দাবী পৌর পরিষদের জন্য নতুন ও তরুন নেতৃত্ব।

তিনি বলেন, মানবসেবার জন্য নিবেদিত প্রাণ উদার ও সম্পদশালী পৌর পিতার আকাঙ্খা সৈয়দপুুরবাসীর। যাতে মেয়র হয়ে কেউ জনগনের বা সরকারের অর্থের মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজ উদ্যোগে প্রয়োনীয় কাজ সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার মত বলিষ্ট নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত গ্রহনে দৃঢ় মনোবলের অধিকারী হয়ে সুখে দুঃখে মানুষের পাশে দাঁড়াবার সামর্থবান হয়। সেক্ষেত্রে পৌরবাসী আমাকে ছাত্রজীবন থেকে তাদের পাশে সবসময় পেয়েছেন বিধায় তাদের প্রতি সেবার হাত আরও বাড়িয়ে দেয়ার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষে মেয়র পদে নির্বাচিত করার আশ্বাস দিয়েছেন। যাতে করে সরকার দলীয় মেয়র হিসেবে সৈয়দপুরের উন্নয়নে সর্বোচ্চ সুবিধাগুলো এনে প্রাচীন এ শহরের চিত্র আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে বৈপ্লবিক সমৃদ্ধি আনতে পারি।

পারিবারিকভাবে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে যেভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ দেশের অর্থনীতিতে ভুমিকা রেখে চলেছি সেভাবে সরকারের সহায়তায় আরও বেশি বেশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারি। তারা বিশ্বাস করেন এক্ষেত্রে আমি সফল হবো এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যবসার ক্ষেত্র তৈরী করতে পারবো। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক হওয়ায় এ সম্ভাবনা অনেক বেড়েছে। এ ব্যাপারে আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় সৈয়দপুরের ব্যবসায়ীমহল আমার প্রতি আশাবাদী।

বিগত করোনাকালীন সময়ে কর্ম হারানো স্বল্প আয়ের মানুষগুলোসহ দরিদ্র ও আপামর জনগোষ্ঠীর পাশে দাড়িয়ে আমার সামর্থানুযায়ী যথাসাধ্য সহযোগীতার চিত্র সৈয়দপুরবাসীর মাঝে দৃষ্টান্ত হওয়ায় তাঁরা এবং ছাত্রনেতা হওয়া থেকে শুরু করে এ যাবত দলের জন্য সকল কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কর্মসূচি সফল করার ক্ষেত্রে আমার ভুমিকা দেখে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ অত্যন্ত কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করে আমাকে তাদের অভিভাবক হিসেবে পৌর পরিষদের দায়িত্ব দিতে চাচ্ছেন।

তাছাড়া আমার রাজনীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যই হচ্ছে জনমানুষের সেবা করা। যে কারনে আমার বড়ভাই আমেরিকা প্রবাসী মরহুম পারভেজ খানের হাত ধরে জাতির পিতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, স্বাধীনতার মহান নেতা, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া দলে যোগদান করে গনতন্ত্রের মানসকন্যা, বঙ্গবন্ধু তনয়া, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সুখী সমৃদ্ধশালী আধুনিক উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সকল লড়াই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি।

স্থানীয় পর্যায়ে সবসময় অগ্রনী ভুমিকা রাখাসহ কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে এককাতারে শামিল হয়েছি। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামীর স্বপ্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে দাঁড় করাতে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে জনসেবায় ওৎপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার মানসে পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই।

এজন্য দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। আমি আশাবাদী যে দলীয় মনোনয়ন পেলে আমি সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র পদটি প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবো। সে সাথে ছাত্র জীবনে নেতৃত্ব দিয়ে যেভাবে সৈয়দপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে আওয়ামী রাজনীতিকে একটা দৃঢ় অবস্থানে দাঁড় করাতে পেরেছি। উর্দুভাষী অধ্যুষিত এ জনপদের একজন উর্দুভাষী পরিবারের সন্তান হিসেবে এ পর্যন্ত উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর সিংহভাগ জনগনকে আওয়ামী রাজনীতির পতাকাতলে সমবেত করেছি। তেমনি করে আগামীতে এ ভুখন্ড আওয়ামীলীগের একচ্ছত্র ঘাঁটিতে পরিনত করতে সক্ষম হবো।

আর তাই সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী প্রার্থীর বিজয়ী হওয়ার যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তা কাজে লাগাতে সার্বিক পরিস্থিতি সুবিবেচনা করে যোগ্যপ্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে হবে। এক্ষেত্রে আমি মনে করি আমার বিকল্প নেই। কেননা অন্যান্যদের নিয়ে যে পারসেপশন আছে তা সৈয়দপুরবাসী ভালেভাবেই অবগত আছেন এবং তা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকেও বিবেচনায় রাখতে হবে বলে আমি মনে করি।

তা না হলে শুধুমাত্র প্রার্থী মনোনয়নে অদুরদর্শীতার কারনে মেয়র পদটা হারালে সমুহ ক্ষতির আশংকা রয়েছে। যা সামাল দেয়া খুবই অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে এবং সৈয়দপুর আওয়ামীলীগের বিগত দিনের কষ্টার্জিত অর্জন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। যা কারই কাম্য হতে পারেনা।

পরিশেষে তিনি বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করবো আর না পেলে দল যাকেই মনোনয়ন দিবে তার জন্য সার্বিকভাবে কাজ করবো। যাতে করে মেয়র পদটি দলের জন্য ছিনিয়ে আনতে পারি।

আনন্দবাজার/শাহী/মনন

সংবাদটি শেয়ার করুন