সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুনই জলমহাল অবৈধভাবে দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেলে সুনই মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুবল চন্দ্র বর্মণ উপজেলার পাইকুরাটি বাজারের একটি ব্যবাসায়ী প্রতিষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সুবল চন্দ্র বর্মণের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সদস্য দ্বিগেন্দ্র বর্মণ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সমিতির সদস্য সাগর চন্দ্র বর্মণ, আকাশ চন্দ্র বর্মণ, রিপন চন্দ্র বর্মণ, ভূট্টো।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সুনই নদী জলমহালটি হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং- ১২৮০৯/১৬, বিগত ২৩/১০/২০১৬ ইং তারিখে দেওয়া আদেশ অনুযায়ী সুবল চন্দ্র বর্মণ ভোগ দখলে আছেন। সমিতির কো-অফট (বিশেষ বিবেচনায়) সভাপতি চন্দন বর্মণ বহিরাগতের নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে উক্ত জলমহালে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। চন্দন বর্মণ সমবায় বিধি লংঘনের কারণে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার্ তাকে সভাপতির পদ থেকে বহিস্কারের জন্য জেলা সমবায় কর্মকর্তাকে সুপরাটিশ করেছেন।
অন্যদিকে চন্দনের সাথে হওয়া লিজ চুক্তিপত্র বাতিল চেয়ে বিগত ১৮/১১/২০২০ ইং তারিখে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) এর আদালতে ক-৪০ আপিল দায়ের করেন সুবল চন্দ্র শুনানি শেষে কোর্ট ০৩/০২/২০১৬ ইং তারিখে চন্দনের সাথে চুক্তপত্রটি হাইকোর্টের দেওয়া ২৩/১০/২০১৬ ইং তারিখে আদেশের পরিপন্থি কি না এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে বলা হয়। তাই সুনই জলমহালে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ঠেকানোর জন্য আইনগত ব্যবস্থা নিতে গত ২৫/১১/২০২০ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন সুবল চন্দ্র বর্মণ।
আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জলমহাল সরেজিমনে পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় আইন শৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। অপরদিকে সমিতিকে থেকে বহিস্কারের জন্য সুপারিশকৃত কো-অফট সভাপতি চন্দন বর্মণ ও তার লোকজন সুনই মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর নাম ব্যবহার করে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকনের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং জলমহালের সাথে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন। একটি কুচক্রী মহল তাদের বদনাম করার জন্য এমন অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
চন্দন চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘কাগজপত্র অনুযায়ী আমরা বৈধ ইজরাদার। প্রত্যেক বছরই আমরা খাজনা পরিশোধ করছি। বৈধ কাগজ থাকা সত্ব্যেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।’
সুবল চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশে আমি জলমহালে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছি। জলমহালের সাথে স্থানীয় এমপি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
আনন্দবাজার/শাহী/সাইফ