মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দশ জেলায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু শনিবার

বাংলাদেশে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেওয়ার দুই মাসের মধ্যে এই পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষা আনুষ্ঠানিকভাবে শনিবার (৫ডিসেম্বর) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

প্রাথমিকভাবে ১০টি জেলায় এই অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে কেউ করোনাভাইরাস পজিটিভ কিনা। এ লক্ষ্যে ওই জেলাগুলোর কোভিড-১৯ এর জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোয় এরই মধ্যে টেস্ট কিট পাঠানো হয়েছে বলে তারা বলছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা জানান, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে যেসব জেলায় আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার সুবিধা নেই কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সংক্রমণের হার বেশি, এমন ১০টি জেলাকে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য বেছে নেয়া হয়েছে।

অ্যান্টিজেন পরীক্ষার আওতাভুক্ত জেলাগুলো হল গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, যশোর, মেহেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটুয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর ও সিলেট। এসব জেলার শুধুমাত্র যাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে তাদেরকেই অ্যান্টিজেন পরীক্ষার আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, এর মধ্যে যাদের ফল পজিটিভ আসবে তাদেরকে সাথে সাথে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হবে যেন সংক্রমণ ঠেকানো যায়। অন্যদিকে উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও কারও টেস্টের ফল যদি নেগেটিভ হয় তাহলে পুনরায় তার আরটি পিসিআর পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হবে।

কারণ অ্যান্টিজেন টেস্টে দ্রুত ফল এলেও এতে ফলস নেগেটিভ অর্থাৎ নেগেটিভের ভুল ফল আসার আশঙ্কাও বেশি থাকে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে শনিবার থেকে অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে। জেলার কোভিড-১৯ এর জন্য নির্ধারিত এই হাসপাতালটিতে এর‌ই মধ্যে ৫০০টি কিট পৌঁছে গেছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুনঃ  তেল-নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জাপার বিক্ষোভ

এর আগে ৫০টি কিট দিয়ে এখানে পরীক্ষামূলক অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়। এজন্য তিনজনকে বিশেষ প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক হিমাংশু লাল রায়।

হিমাংশু লাল রায় বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে যে পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয় সেটাকে বলা হয় আরটি-পিসিআর টেস্ট। এতে নমুনা দেয়ার পর ফল পেতে অন্তত ২৪ ঘণ্টা কিংবা তার বেশি সময় লাগে।

কিন্তু অ্যান্টিজেন টেস্টে নমুনা সংগ্রহের ২০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যেই করোনাভাইরাস পজিটিভ নাকি নেগেটিভ সেটা জানা যায়। যদিও কিছু ফলস নেগেটিভ ফল আসার আশংকা থেকেই যায়।

এরপরেও কারও মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত সাধারণ মানুষের সংস্পর্শ থেকে আলাদা করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি।

অ্যান্টিজেনের এই পরীক্ষামূলক পরীক্ষা ১০টি জেলা থেকে শুরু করা হলেও পর্যায়ক্রমে অন্য জেলাগুলোতেও এই পরীক্ষা সম্প্রসারিত করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

খবর : বিবিসি বাংলা।

আনন্দবাজার/এম.কে

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন