বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মজিবুর রহমান মজনু বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে দেশ আজ মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে।
কোন ব্যক্তি যদি কারো ব্যক্তি স্বার্থে কোনো কাজ করে সে কাজে শুধু সেই ব্যক্তিরই উপকার হয়। আর কোনো রাষ্ট্র প্রধান বা সরকার প্রধান যদি দেশের জন্য কোনো উন্নয়নের কাজ করে সে উন্নয়ন সাধারণ মানুষের উপকার হিসাবে গণ্য হয়। বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। শিবগঞ্জের মেয়র মানিক শিবগঞ্জের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিনি শিবগঞ্জ পৌরসভায় এই অর্থ বছরে ৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন। তা সম্ভব হয়েছে তার উন্নয়ন স্বরূপ মনোভাবের জন্য মেয়র জানেন কীভাবে বর্তমান সরকারের কাছ থেকে কাজ হাতিয়ে আনতে হয়।
শিবগঞ্জ ১টি তৃতীয় শ্রেনীর পৌরসভা হলেও উন্নয়নে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভাকেও হার মানিয়েছেন। বর্তমান সরকারের সময়ে শিবগঞ্জ পৌরসভা সহ সাড়া দেশে যে উন্নয়ন মূলক কাজ করা হয়েছে, বিগত সরকারের আমলে তার এক অংশ কাজ করা হয়নি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে একটি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি যে অনাকাঙ্খিত বিতর্কের সৃষ্টি করছে, তা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য। তারা জানেন, সারা বিশ্বে সেই দেশের স্থপতির ভাস্কার্য স্থাপন করা আছে। মুসলিম দেশের মধ্যে সৌদি আরবীয় জেদ্দা বিমান বন্দরে সেদেশের স্থপতির ভাস্কার্য নির্মান করা আছে। তাতে যদি সৌদি আরবের মতো দেশে ধর্মীয় নেতাদের কাছে মুর্তি পূজা মনে না হয়। তবে কেন বাংলাদেশের মৌলবাদীরা জামায়াত বিএনপিররা এই ভাস্কার্য নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। কাতারের মতো মুসলিম দেশ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কার্য নির্মানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এটা আমাদের গর্বের বিষয়। ভাস্কার্য মানে মূর্তি নয়, ভাস্কার্য দেশের ঐতিহ্য রাজনৈতিক নেতার কর্মময় জীবনের প্রতিচ্ছবি। মূর্তি হলো কোনো দেবতা, যাকে বিধর্মীরা পূজা করে মনোবাসনা পূর্ণ করতে চায়।
উপরে উল্লেখিত নেতারা গতকাল শিবগঞ্জ পৌর এলাকার ভূরঘাটা গ্রামের গাংনই নদীর উপরে আরসিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি টি জামান নিকেতা, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহরিয়া কবির ওপেল, জেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন নবাব, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান ডিউক, জেলা আওয়ামীলীগ দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েল, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাশরাফি হিরো, জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য আবুল কাশেম ফকির, সারিয়াকান্দি পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য আলমগীর শাহী সুমন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজ্জাকুল ইসলাম রাজুর সঞ্চালনে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম হোসেন, মশিউর রহমান মন্টি, তাকবির ইসলাম খান, তারেক পাপ্পু, মুকুল ইসলাম, সজিব সাহা, আ: রউফ, নোমান আল-সাব্বির, সুমন, সানোয়ার হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল করিম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হাবিবুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক, আব্দুল মান্নান, রেজাউল করিম চঞ্চল, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুল হক দুদু, সাধারন সম্পাদক সামছুল ইসলাম মোল্লা, কৃষক লীগের সভাপতি মোঃ লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর আলম, যুবলীগ সভাপতি আব্দুস ছাত্তার, ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি, এসএম রূপম, পৌর কাউন্সিলর হারুনুর রশিদ, আবু সাঈদ, সাইফুল ইসলাম, মাজেদা বেগম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সেতু ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ আবু সাঈদ আল-মাহমুদ স্বপন উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থ্যতার জন্য তিনি আসতে পারেননি।
আনন্দবাজার/শাহী/শেখর